আরও পড়ুন: পরীক্ষা শেষের আনন্দ অপূর্ণই থেকে গেল, বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল কিশোর
‘কথায় আছে খাবি কী/ ঝাঁজেই মরে যাবি’। বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের সিনেমা হল রোডের উপরে গুরুসদয় মঞ্চের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত এই তেলকল’টি। এখানে কৃষকদের থেকে সরাসরি সর্ষে কিনে কাঠের ঘানিতে পেষাই করা হয়।
advertisement
এই মিলের ভিতরে প্রবেশ করলেই তেল চিট চিট করছে সর্বত্র। তারই মধ্যে দেখতে পাবেন কাঠের ঘানি অনবরত কাজ করে চলেছে। সরষে পেষাই করার পর বেরিয়ে আসছে খোল। একটু একটু করে গাঢ় ঘন তেল গড়িয়ে প্রবেশ করছে পাত্রের মধ্যে। কর্মচারী ব্যতীত আপনি যদি সাধারণ মানুষ হন তাহলে মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই সরষের ঝাঁজে দুই চোখ বুজে আসবে। প্রায় ৫০ বছর পুরানো এই তেল মিলের কর্মচারীরা কেউ ১০ বছর, আবার কেউ ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন। তাঁরা এই ঝাঁজ সহ্য করে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রথমত ঘানিতে সর্ষে ভরে নরম করে নেওয়া হয়। এরপর সেই নরম সর্ষে পেষাই করে তৈরি হয় তেল এবং খোল। তেলের মতই খোল অর্থাৎ সর্ষের অবশিষ্টাংশ অর্থাৎ ছিবড়ে সমান গুরুত্বপূর্ণ। চাষের ক্ষেত্রে জমিতে কিংবা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খোল। ৩ কিলো সর্ষে থেকে ১ কিলো তেল এবং ১ কিলো খোল পাওয়া যায়। এই নির্দিষ্ট তেল মিলে প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন কুইন্টাল সর্ষের তেল তৈরি হয়। কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই এখান থেকে তেলও খোল নিতে আসেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী