আরও পড়ুন: ১ টাকায় দুপুরের পেট ভরা খাবার! মেনুতে মাছ-মাংস’ও থাকছে
এই নাট্য শিল্পীর বর্তমান বয়স ৮৭ বছর। এই বয়সেও অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের আবেগের স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যান। তবে অবসর সময় যা করেন এই প্রাক্তন শিক্ষক তা জানলে অবাক হবেন। যুগজিৎ নন্দ প্রধান শিক্ষক হিসেবে সামান্য বেতনে সবং-এর খড়িকা বিবেকানন্দ বিদ্যায়তনে শিক্ষকতা করতেন। এরপর নছিপুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক এবং বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমিতে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং পরে সেখান থেকেই অবসর নেন।
advertisement
১৯৬২ থেকে ৫ বছর তিনি বেলদা কলেজ ও মেদিনীপুর কলেজে এনসিসির প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার কৃতিত্ব আছে তাঁর। সেখানে পারদর্শিতা দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাসভবনে বিশেষ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ছোট থেকেই বাবার কাছে নাট্যচর্চায় হাতে খড়ি। অভিনয় করেছেন বিভিন্ন নাট্যদলে। স্কুল-কলেজ জীবনে বিভিন্ন নাটক যাত্রাতে অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে বর্তমানে স্কুল জীবন থেকে অবসর নিয়ে বাড়িতেই একাধিক নাটক লিখেছেন যুগজিৎবাবু। বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও লিখেছেন একাধিক নাটক। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছেন নাটকের নেশা। বর্তমানে তাঁর ছেলেরাও নাটকে অভিনয় করেন। শুধু তাই নয়, তিনি লিখেছেন অনুগল্পও। শিক্ষকতার জীবনে তিনি বেশ কয়েকটি পাঠ্য বইও লিখেছেন। যাত্রা শিল্পের সেকাল-একাল নিয়ে লিখেছেন বইও।
তবে এত বয়সে এসে আর নিজে লিখতে পারেন না যুগজিৎবাবু। পরিবারের সদস্যদের কাছে বসে তিনি অনবরত সংলাপ বলে চলেন, আর তাঁরা সেটা খাতায় লিখে দেন। এভাবেই লেখা হয়ে চলেছে একের পর এক নাটক।
রঞ্জন চন্দ