আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, নুরপুরে চালু হল ভাসমান জেটি ঘাট
ইতিমধ্যেই সেই ড্রাইভ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন আবিষ্কার নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটি ধরার জন্য বিশেষ সফটওয়্যার কিংবা ড্রাগ ডেলিভারি ডিভাইস বিশ্বের দরবারে ভারতকে করেছে অনন্য।
বর্তমানে একটা ছোট্ট চিপের (Silicon Microchip) মধ্যেই গোটা দুনিয়া। বর্তমান যুগকে তাই সিলিকন যুগ বা সেমি কন্ডাক্টর (Semi-Conductor) যুগও বলা হয়। প্রতি মুহূর্তে নানা আবিষ্কার’কে সেমিকন্ডাক্টার (বা অর্ধপরিবাহী)-র মাধ্যমে চিপ-বন্দি করে এগিয়ে চলেছে চিন-জাপানের মত দেশগুলি। পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় ভারত-ও। বিকশিত ভারত (Vikait Bharat) এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভিশনের (India’s Techade Vision) মধ্য দিয়ে সেই লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলেছে দেশ। নাম দেওয়া হয়েছে আইএসএম বা ভারতের সেমিকন্ডাক্টার মিশন (India’s Semi-Conductor Mission)। ২০৪৭ সালের মধ্যে এই সেমিকন্ডাক্টর মিশনে চিন-জাপানকে পাল্লা দিতে এগিয়ে এসেছে ভারতের আইআইটি খড়গপুরও (IIT Kharagpur)।
advertisement
বুধবার আইআইটি খড়গপুরের নেতাজি অডিটোরিয়ামে এই সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। লক্ষ্য ১০০ দিনে অন্তত ১০০টি আবিষ্কার-স্বত্ব’কে অনুমোদন দেওয়া। এই আহ্বান জানিয়েই এদিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানের গবেষক, বিজ্ঞানীরা এগিয়ে এসেছেন। উদ্ভাবনী আবিষ্কার ভারতকে করবে সেরার সেরা। উল্লেখ্য যে, আইআইটি খড়গপুরের স্পনসরড রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসালটেন্সি সেলের একটি বিশেষ ড্রাইভে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রায় আড়াই বেশি পেটেন্ট ফাইলিং হয়েছে। একইভাবে, অনুমোদন দেওয়া পেটেন্টের সংখ্যাও চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০৬ টি পেটেন্ট পেশ করা হয়। এর মধ্যে ৭১ টি পেটেন্টের অনুমোদনও দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অ্যারোস্পেস, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক, সিভিল, কম্পিউটার সায়েন্স, এআই এবং IoT, Cryogenics, রোবোটিক্স, রাবার প্রযুক্তি, 6G এবং তার বাইরে টেলিযোগাযোগ, শক্তি বিজ্ঞান, শিল্প এবং সিস্টেম, ধাতুবিদ্যা ও উপকরণ, খনিজ, ন্যানোসায়েন্স, প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত এই পেটেন্টগুলি ভারতবর্ষের উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের। ভারতকে বিজ্ঞানের মানচিত্রে এক অন্যতম স্থান দিতে নয়া ভাবনা আইআইটি-এর। সফলতার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে প্রযুক্তিবিদ্যার এই প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানটি।
রঞ্জন চন্দ






