TRENDING:

Bengali News: বন্ধ্যা লালমাটির দেশ হয়ে উঠছে সবুজ, মাটির সৃষ্টি'র হাত ধরে আয় বাড়ছে কৃষকদের

Last Updated:

এলাকার চাষিদের বিকল্প চাষের মাধ্যমে উপার্জনের পথ খুলে দেওয়া। এর ফলে যেসব জমিতে একেবারে চাষ হয় না সেগুলি চাষ উপযোগী হয়ে যায়

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: এতদিন কোথাও জলের অভাবে, কোথাও আবার জমি অনুর্বর থাকার কারণে চাষ হয়নি। তবে কৃষি দফতর মাটির সৃষ্টি প্রকল্প চালু করতেই এক বছরে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। জেলায় এক বছরে প্রায় ২৭০ হেক্টর বন্য জমিকে নতুন করে চাষযোগ্য করে তোলা গিছে। কোথাও আবার এক ফসলি জমি দু’ফসলি হয়েছে। বিকল্প হিসাবে বাদাম, ভুট্টা চাষের দিকেও ঝুঁকছেন চাষিরাও।
চাষের জমি
চাষের জমি
advertisement

আরও পড়ুন: সাগরে বইছে খুশির জোয়ার, রাতারাতি ১৯১ টি প্রকল্পের উদ্বোধন

বীরভূম জেলায় কৃষিকাজের এই ভোল বদলকে সাফল্য হিসাবেই দেখছে কৃষি দফতর। দফতরের আধিকারিকদের মতে, অনুর্বর জমিতে প্রযুক্তির সাহায্যে বিকল্প পথে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা শিবনাথ ঘোষ বলেন, আমরা ক্লাস্টার তৈরি করেছিলাম।সেখানে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে অনুর্বর জমিগুলোকে চাষের জমিতে রূপান্তরিত করা যায় সেই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। তাতে অনেকটাই সাফল্য এসেছে। বিকল্প চাষ করে চাষিরা। লাভবান হচ্ছেন। তার অন্যতম উদাহরণ রাজনগরের বিপুল এলাকাজুড়ে ভুট্টা চাষের বিষয়টি। আগামীতে বৃহত্তর এলাকায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে কৃষি দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে ১৬ টি ব্লকে ৩৮ টি ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১৮ টি ব্লকে করা হয়। সেখানে কোথাও ৪০ হেক্টর, কোথাও ৫০ হেক্টর জমিকে ক্লাস্টার তৈরি করে চাষ করা হয়েছে।

advertisement

উল্লেখযোগ্যভাবে কলাই ও বাদাম চাষের উপযোগী জমি এই প্রকল্পে তৈরি করা গিয়েছে। এই যেমন রাজনগরের ব্লককে খরা প্রবণ এলাকা হিসেবে চেনা যায়। ধানের বিকল্প হিসেবে এখানে ভুট্টা, অরহর, বাদাম চাষ হয়েছে। সিশেল ফার্মের দিকে প্রথমবার শুষ্ক জমিতে ভুট্টার ব্যাপক ফলন হয়েছে। তা বিক্রি করে ৬৮ হাজার ১৬০ টাকা পেয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অথচ এই জমিতে চাষ সম্ভব এটা এতদিন কেউ ভাবতেই পারেনি। এছাড়া লাভপুরে নদীর ধারে নাগপুরের কমলালেবু চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি মুসাম্বি লেবু, পেয়ারা, কলা, বেদানা চাষ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাঙামাটির পতিত জমি ধীরে ধীরে শস্য শ্যামলা হয়ে উঠছে।

advertisement

View More

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই প্রকল্পের প্রধান দুটি লক্ষ্য- এক, দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক থাকা জমিকে সবুজ করে তোলা। দুই, এলাকার চাষিদের বিকল্প চাষের মাধ্যমে উপার্জনের পথ খুলে দেওয়া। এর ফলে যেসব জমিতে একেবারে চাষ হয় না সেগুলি চাষ উপযোগী হয়ে যায়। এর জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর একযোগে জলের বন্দোবস্ত করা থেকে শুরু করে সবই করে থাকছে। শেষ এক বছরে ১৩ হাজার চাষিকে ডাল শস্য, বীজ বিই করা হয়েছে। এছাড়াও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়ার বিষয়টিও আছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bengali News: বন্ধ্যা লালমাটির দেশ হয়ে উঠছে সবুজ, মাটির সৃষ্টি'র হাত ধরে আয় বাড়ছে কৃষকদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল