আরও পড়ুন: ক্রমশ বেড়েই চলেছিল পেট, অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকরা বের করলেন ২৭ কেজির টিউমার!
ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে আমগাছ মুকুলে ভরে থাকে। কিন্তু এবার মার্চেই গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু হয়েছে। অনেকেই হয়ত ভাবছেন, গাছে প্রচুর মুকুল আসছে, কিন্তু সব ঝরে যাচ্ছে কেন? দেখুন, আম গাছের একটা ডালে অনেকগুলো ফুল থাকে। যদি ঐ একটা ডাল থেকে একটা ফলও হয়, তাহলে একে বাম্পার ফলন বলা হয়। কিন্তু এই বাম্পার ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না যদি না ঠিকমত মুকুলের পরিচর্যা করা হয়। ফলে মুকুল ঝরে পড়ে গেলে আমের ভাল ভালন পাওয়া সম্ভব হবে না।
advertisement
আম চাষ করে ভাল মুনাফা পেতে হলে কৃষক ভাইদের এখনই কী কী করতে হবে তা জানালেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ রঞ্জিত মুখার্জী। পোকার আক্রমণে মার খায় আমের উৎপাদন। এই বিপদ থেকে বাঁচতে মুকুল ধরার সময়ই ভাল করে গাছের যত্ন নেওয়া দরকার। এইসময় আম গাছে বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায়। আমের মুকুল আসার সময় থেকেই বিভিন্ন রোগ-পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সঠিক সময়ে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা না করতে পারলে ফলনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আমের মুকুল ঝরে পড়ার একটি অন্যতম কারণ হল হপার পোকার আক্রমণ। একটি হপার পোকা প্রায় ১৫০ টি ডিম পাড়তে পারে। এই ডিমগুলো পাঁচ-সাত দিনের মাথায় ফুটে যায় ও আম গাছের পাতা, ফুল, ফলের রস খেয়ে এই পোকাগুলো জীবন ধারণ করে। এর ফলে আমের মুকুল শুকিয়ে ঝরে পড়ে। হপার পোকায় আক্রান্ত মুকুল থেকে আমের গুটি হয় না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক, যেমন পাউডারি, মিলডিউ ওডিয়াম মেংগিফেরা এদের আক্রমণে আমের মুকুল পড়ে যায়। আম গাছকে পোকা দমনের হাত থেকে বাঁচাতে ও আমের মুকুল ঝরা রোধ করতে আম বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আগাছা মুক্ত খোলামেলা অবস্থায় রাখতে হবে। আমের মুকুলে পোকা ও ছাত্রানাশক স্প্রে করতে হবে। গরমের শুরুতেই এখন আম গাছে প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। সেইজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দরকার। সেই জলের যোগান যাতে ঠিক থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে।
জুলফিকার মোল্লা