আরও পড়ুন: সন্দেশখালির জেলাতেই ছাত্রীদের আগাম আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ
দু’কিলোমিটার পিচের রাস্তা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে টাকা। তাতে আশার আলো দেখেছিলেন স্থানীয়রা। রাস্তা তৈরির কাজ শুরু’ও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাস্তা তৈরির কাজ কেমন হচ্ছে দেখতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ল গ্রামবাসীদের। এ কী দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা? এভাবে রাস্তা তৈরি হলে তো এক বছরও টিকবে না। রাস্তা তৈরি করতে এমন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
advertisement
স্থানীয়রা কার্যত হাতেনাতে ধরেছেন অসাধু উপায়ে রাস্তা তৈরির এই পন্থা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারের দিকে। কেন এমন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি হচ্ছে তার সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত ঠিকাদার। স্থানীয়দের অভিযোগ, যে দু’কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা ছিল তার মধ্যে অর্ধেক রাস্তা এই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। যেখানে ৪৪% পাথর ব্যবহারের কথা, সেখানে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র ৫%।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অন্যদিকে রাস্তা তৈরিতে বালির বদলে ব্যবহার করা হয়েছে পলি। যা সেচ দফতর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তোলে। তাছাড়াও রাস্তা তৈরির ব্যাপারে ঠিকাদার কোনও বৈধ ওয়ার্ক অর্ডারও দেখাতে পারেননি। যদিও গ্রামবাসীদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর পিঠ বাঁচাতে ফের নতুন করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছেন ওই ঠিকাদার। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা বলছেন, রাস্তা তৈরির কাজে নজর না দিলে সবটাই জলে যেত।
নয়ন ঘোষ