রীতিমতো আপ্লুত ও আনন্দিত নকশি কাঁথা শিল্পীরা। প্রসঙ্গত, বেঙ্গল বিনালের সহযোগিতায় বিশ্বভারতীর কলাভবনের প্রাক্তনীদের উদ্যোগে ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর আস্ত একটি নকশিকাঁথার বাড়ির প্রদর্শন হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। আর সেই প্রদর্শনীটি জনপ্রিয় হওয়ায় এবার পাড়ি দিচ্ছে সূদুর ইতালিতে। শিল্পীরা বলেন, “আমরা কাঁথাস্টিচের কাজ করছি অনেক দিন ধরে। আমরা নিজেদের জীবনে না বলতে পারা গল্পগুলো শাড়িতে নকশা করে তুলে ধরবো এই ধারনা ছিল না। কিছুদিন ধরেই আমরা কাজ শিখেছি। এখন আমাদের কাজ বিদেশে যাচ্ছে, প্রদর্শনী হবে জেনেই খুশি হচ্ছেন সকলেই।”
advertisement
নকশিকাঁথা মানেই আত্মকথন বর্ণনার শিল্পমাধ্যম। তা আবারও প্রমাণ করল শান্তিনিকেতনের মহিলা কাঁথাশিল্পীরা। আর তাঁদেরই জীবনের গল্পগুলো পাড়ি দেবে বিদেশের মাটিতে। যা নিয়ে আপ্লুত তাঁরাও। জানা যায়, প্রায় ২০০টি শাড়ি দিয়ে আস্ত একটি নকশিকাঁথা কাঁথাঘর প্রদর্শিত হবে ইতালির মিলান শহরে।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসতে চলেছে ইতালিতে। তার আগেই মিলান শহরের পিএসি মিউজিয়ামে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে এই প্রদর্শনী চলবে অলিম্পিক পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই ইতালি থেকে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছেছে বোলপুর শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীর কলাভবনের শিল্পী রবিউল খান ও ঋতুশ্রী মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন কাঁথা শিল্পী ইতালিতে পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কাঁথা শিল্পীরা কেউ ফুটিয়ে তুলেছেন ছেলেবেলায় স্কুল থেকে ফেরার গল্প, কেউবা স্মৃতি কথা। কেউ আবার সংসারের জীবনের কাহিনী। যা শুধু শিল্পকর্মই নয়। এ এক অনন্য সাহিত্য।
Souvik Roy