এ দিকে এবারের স্বাধীনতা-সপ্তাহ ছুটির ডালি নিয়ে উপস্থিত। সুযোগ নিতে তৈরি শহরের পর্যটকেরা। তাঁদের আগ্রহে জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রাম ‘হাউসফুল’। হোটেল, হোম স্টেগুলো আর নতুন কাউকে জায়গা দিতে পারছে না। যার ফলে শুক্র থেকে রবিবার টানা তিনদিনের ছুটি। পর্যটকদের বেশি আগ্রহ বেলপাহাড়ির মনোরম পরিবেশ ও প্রকৃতি। পাহাড়ি-জঙ্গল ঘেরা পথে একাধিক জায়গায় নিজের খেয়ালে ঘোরে ময়ূর-ময়ূরী। বর্ষায় বেলপাহাড়ি অপরূপ সাজে সেজেছে।
advertisement
স্বাধীনতা দিবসের সময় কোথাও ফাঁকা নেই। তবে বেলপাহাড়ি এলাকায় ঝাড়গ্রাম শহরের তুলনায় আগে বুকিং হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের বেলপাহাড়ির টান প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বেলপাহাড়ি টুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বিধান দেবনাথ বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের টানা ছুটিতে বেলপাহাড়িতে জঙ্গল লাগোয়া হোম-স্টেতে কোনও ফাঁকা নেই।”
আমলাশোলের পাশাপাশি কাঁকড়াঝোর, ঢাঙ্গিকুসুম-সহ বেলপাহাড়ির বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে হোম স্টে। ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ও জামবনিতে বেশ কিছু হোম স্টে হয়েছে। জেলায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হোম স্টে ১০২টি। এর মধ্যে বেলপাহাড়িতে প্রায় ৫০টি রয়েছে।
বালিচুয়া, গোয়ালবেড়া, চাকাডোবা, বাঁশপাহাড়ি, কুলডিহা, কেকাবনিতে হোম স্টে গড়ে উঠেছে। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে রিসর্ট, হোম স্টে মিলিয়ে সংখ্যটা প্রায় দু’শো।বেলপাহাড়ির একটি হোম-স্টের কর্ণধার তাপস হালদার বলেন, “মার্চ মাস থেকেই প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহের বুকিং চেয়ে ফোন করছেন। কিন্তু থাকার জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।”
ঝাড়গ্রামের প্রতি এই আকর্ষণেই জেলায় হোম স্টের ব্যবসা বাড়ছে। প্রশাসনের দাবি, হোম স্টে যে এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ বদলে দিতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল আমলাশোল ও কাঁকড়াঝোর। হোম স্টে তৈরির জন্য সরকারি ভর্তুকি মিলছে। কাজের সংস্থান হচ্ছে। বাসিন্দাদের বাইরে যেতে হচ্ছে না। পাহাড় জঙ্গল ঝর্নার টানে প্রচুর পর্যটক বেলপাহাড়িতে আসছেন। যার ফলে প্রতিনিয়তই উন্নতি হয়েছে পর্যটন শিল্পের।