বেলপাহাড়ি যেন পাহাড়, ডুংরি, ঝর্ণার ক্যানভাসে আঁকা ছবি। ঝর্ণার জল, পাখির কলরবে পাহাড়-ডুংরির কোলে পড়ন্ত সূর্যের মায়াবী রূপ পর্যটকদের বারবার টানে।
আরও পড়ুন: ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে জঙ্গলের রোমাঞ্চ, হঠাৎ-বাঘ-দেখতে-পাওয়া! সুযোগে ঢুঁ মারুন বেলপাহাড়িতে
বেলপাহাড়ি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ঘাঘরার সৌন্দর্য সম্পূর্ণ উপভোগ করতে যেতে হবে ভরা বর্ষায়। অদ্ভুত পাথুরে ভূ-প্রকৃতি এই জায়গায়। এখানে রয়েছে একটি গিরিখাত। জলের তোড়ে পাথরের বিভিন্ন জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে যখন প্রবল শব্দে জল বয়ে যায়, তখন সে রূপের আকর্ষণই আলাদা। উইকেন্ডে আপনি ঘুরে আসতেই পারেন এই জলপ্রপাতে।
advertisement
তারাফেনী নদীর উপর রয়েছে এই ঘাঘরা জলপ্রপাত। সারা বছর তেমন একটা জল না থাকায় জলপ্রপাতটি সারা বছর শান্ত থাকে বললেই চলে। তখন কেবলমাত্র ঘাঘরা জলপ্রপাতে অপূর্ব এক নীল জলের আভা ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের উড়ানের কাহিনি, গ্রুপ-ডি কর্মী থেকে ডব্লিউবিসিএস-এ সাফল্য জঙ্গলমহলের কবীন্দ্র হাঁসদার
বৃষ্টিতে তারাফেনী নদী জেগে ওঠায় জেগে উঠেছে ঘাঘরা জলপ্রপাতও। তাই একদিনের ছুটিতে পর্যটকদের কাছে সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে ঘাঘরা জলপ্রপাত। এখানে বেশ কিছু সিনেমার শুটিংও হয়েছে।
আসবেন কিভাবে? সড়কপথে কলকাতা থেকে বেলপাহাড়ির দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারের মতো। কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে বেলপাহাড়ি যেতে পারেন বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে ঘুরতে। ঝাড়গ্রাম স্টেশনে এসে সেখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে বেলপাহাড়ি যেতে পারেন।
কলকাতা থেকেও বেলপাহাড়ির বাস পাওয়া যায়। বেলপাহাড়িতে একাধিক হোটেল, হোম স্টে রয়েছে সেখানে থাকতে পারেন। কলকাতা ট্রেনে ঝাড়গ্রাম। সেখান থেকে ৪০ কিমি বেলপাহাড়ি। আর বেলপাহাড়ি থেকে ৭ কিমি ঘাঘরা।
তন্ময় নন্দী