দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ রেলগেটে তীব্র যানজটের শিকার হচ্ছেন। রেলগেটে একবার আটকে গেলে দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে প্রায় আধঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বেলদা থেকে কেশিয়াড়িগামী রাজ্য সড়কে কেশিয়াড়ি মোড়ে রেলগেটের উপর ওভারব্রিজ তৈরি করার। তবে শুধু কেশিয়াড়ি মোড় নয়, পাশাপাশি শুশিন্দা রেলগেটের উপরেও তৈরি হতে পারে ওভারব্রিজ।
আরও পড়ুন : চায়ের কাপে ভয়ংকর খেলা! ঘুমপাড়ানি চা খাইয়ে এক প্রেমিকের সঙ্গে উধাও দুই জা
advertisement
ব্রিটিশ সময় থেকে খড়গপুর ডিভিশনের অন্তর্গত বেলদা রেল স্টেশন সংলগ্ন কেশিয়াড়ি মোড় এলাকায় রয়েছে রেলগেট। এই গেট কখনও কখনও মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় মানুষের। বারংবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে দাবি তোলা হয়েছে। তবে অবশেষে একটি নয় দুটি ওভার ব্রিজ পেতে চলেছে বেলদা। রোড ওভারব্রিজ তথা উড়ালপুল নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শনের বিজ্ঞপ্তি দিল রেল। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের খড়্গপুর ডিভিশনের আটটি এলাকায় উড়ালপুল নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করবে তারা।
আরও পড়ুন : ঘুম ভাঙল গর্জনে! বাইরে বেরিয়েই স্থানীয়রা যা দেখলেন, বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না
রেল সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে জায়গা পরিদর্শন হবে। এই পরিদর্শনে রেলের সঙ্গে যৌথ পরিদর্শনে থাকবে রাজ্য পূর্ত দফতর। আটটি এলাকাতেই সব কিছু ঠিক থাকলে মানুষ ও যানবাহনের যাতায়াতের জন্য আগামীদিনে উড়ালপুল নির্মিত হবে। জানা গিয়েছে, রেলের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আগামী ৩, ৪, ৬ সেপ্টেম্বর তিনদিন সকাল ১১টা থেকে এই পরিদর্শন চলবে। তার মধ্যে নারায়ণগড় ব্লকে রয়েছে পাঁচটি রেলগেট। ৭ নম্বর ডহরপুর, ১০ নম্বর রামপুরা, ১৬ নম্বর কসবা নারায়ণগড়-বহুরূপা, ২৩ নম্বর আকন্দা-কৃষ্ণপুর, ২৬ নম্বর বেলদার শুশিন্দা রেলগেট।
এছাড়াও রয়েছে খড়গপুরের ৪ নম্বর বলরামপুর-বলরামপুর হাসপাতাল, ৫৬ মাদপুর বিডিও অফিস-বাজার রোড, ৫০ নম্বর বিষ্ণুপুর-রাধামোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন রোড। বেলদাতে মূল ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে কেশিয়াড়ি মোড় ও শুশিন্দাতে দুটি উড়ালপুল নির্মাণের ঘোষণা করেছিল রেল। ২৪ ও ২৬ নম্বর রেলগেট দুটি রাজ্য সড়কের ওপর অবস্থিত। সেই ঘোষণার তিনবছর পেরিয়েছে। এখনও উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেশিয়াড়ি-বেলদা ২৪ নম্বর রেলগেট। এই গেট দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। একাধিকবার পরিদর্শন হলেও এখনও কাজ শুরু করেনি রেল। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুন : দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু! মেঘ-কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে পাহাড়, পর্যটকদের ভোগান্তি
এই গেটের একদিকে কেশিয়াড়ি, বেলদা কলেজ ও বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অপরদিকে বাজার, স্কুল ও একাধিক প্রশাসনিক দফতর। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে যাওয়ার সময় এই গেটে প্রসূতি আটকে একাধিক সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কাজনক রোগী হাসপাতালের পথে মারাও গিয়েছেন। তারপরেও রেলের কোনও হেলদোল নেই। তার মধ্যে ফের বেলদাতে আরও কয়েকটি উড়ালপুল নির্মাণের জন্য পরিদর্শনের খবরে খুশি সাধারণ মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সম্প্রতি খড়্গপুর ডিভিশনে নারায়ণগড়ের নেকুড়সেনী পর্যন্ত তৃতীয় লাইন চালু হয়েছে। বেড়েছে ট্রেন। ঘনঘন দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকছে রেলগেট। ফলে নিয়ম অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচলের জন্য উড়ালপুল নির্মাণের প্রয়োজন। রেলের দেওয়া এলাকাগুলির কয়েকটি রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের অধীন। সেই এলাকাগুলিতে তাই যৌথ পরিদর্শন করবে রেল। রেলের দাবি, রাজ্যের পূর্ত দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। চিঠি দিয়ে যৌথ পরিদর্শনের কথা হয়েছে। পরিদর্শনের পরেই পরিকল্পনা করা হবে। তবে রেলের এই প্রাথমিক পদক্ষেপে আশার আলো দেখছেন এলাকাগুলির মানুষ।