সকাল সকাল চিল্কিগড় কনক দূর্গা মন্দিরে বহু পর্যটক দেবী কনক দুর্গর পুজো দিয়ে তারপরেই তারা দিনের ভ্রমণ শুরু করছে। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে কয়েকশো হনুমান। এছাড়াও মন্দিরের পাশে বয়ে যাওয়া ডুলুং নদীর তীরে বসে দিব্যি সময় কাটাচ্ছে পর্যটকরা। মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য সমস্ত সামগ্রী মন্দির প্রাঙ্গনে পাওয়া যায়। ফলে বেড়ানওর পাশাপাশি মাতৃ আরাধনাও করতে পারছে পর্যটকরা।
advertisement
ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে রয়েছে কনক অরণ্য। জঙ্গলমহলের আর পাঁচটা জঙ্গলের তুলনায় কনক অরণ্যের জঙ্গল সম্পূর্ণ আলাদা।আমাজন অববাহিকার রেন ফরেস্টের মত লতানোপেঁচানো গাছের গভীর জঙ্গল রয়েছে। দিনের বেলা তো জঙ্গলের অনেক জায়গায় সূর্যের আলো ছুটে পারে না মাটি। কনক অরণ্যের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ডুলুং নদী।
আরও পড়ুন: অবহেলায় পড়ে থাকা বাংলার ব্রাহ্মী শাক এবার পাবে GI তকমা
কনক অরণ্য প্রায় ৬০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। এরমধ্যে ৩৮৮টি বিভিন্ন প্রজাতির ভেষজ গুল্ম গাছ এবং লতা গুল্ম সহ ১১৫ টি ঔষধি গাছ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গাছ ও লতা গুল্ম জাতীয় গাছ বিলুপ্তপ্রায় রয়েছে। তাই এই নিরবিচ্ছিন্ন জঙ্গলটিকে রক্ষা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে জীববৈচিত্র্য হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আম ও চকলেট পাটিসাপটা! মন কাড়ছে ভোজন রসিকদের! চাইলে বাড়িতেও বানাতে পারেন
বর্ষবরণের আগে পর্যটকদের ঢল নামায় যেমন ভিড় বাড়ছে চিল্কিগড় মন্দির প্রাঙ্গনে ঠিক তেমনইআর্থিক অবস্থা সচ্ছল হচ্ছে চিল্কিগড়ের পর্যটন স্থলকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহকরি ব্যক্তিদের।
বুদ্ধদেব বেরা