আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির মহিষাসুরকে বধ করতে লাউ দিয়ে তৈরি মা দুর্গা! তাক লাগালেন গৃহবধূ
সপ্তাহে মঙ্গলবার এই হাট। প্রায় সারা বছর খরিদ্দারের ঠাসা ভিড়। সোমবার বিকেল থেকেই অনেকাংশে হাটের পসরা সেজে উঠে। মঙ্গলবার ভোর থেকে এই এই হাট থিক থিক করে খরিদ্দারের ভিড়ে। সারাদিন ধরে সন্ধ্যা পর্যন্ত পোশাক বেচা-কেনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতা হাজির হয় এখানে। শিশু থেকে পুরুষ মহিলা সমস্ত বয়স ও বিভিন্ন রকমের পোশাক পাইকারি ও খুচরো কেনা বেচা চলে। খুব সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। খুব কাছেই হাওড়া স্টেশন সারা দেশের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। অন্যদিকে সড়ক পথ, তার উপর নতুন মেট্রো পরিষেবা আরও সহজে কলকাতা থেকে হাওড়া আসা। সারা বছর প্রচুর ভিড়, পুজোর কিছুদিন কতটা ভিড় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে এই মঙ্গল হাটে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত, মেট্রোপথে আরও সহজে খুচরো ক্রেতারা হাজির হবে এবার। ভাল ব্যবসা হবে দারুন আশাবাদী ছিল ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার হাটে সেভাবে দেখা নেই খরিদ্দার এর। একদিকে আর জি কর কান্ড অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতি। দারুন প্রভাব পড়েছে হাওড়ার মঙ্গলা হাটে। তার উপর নিম্নচাপ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। পসরা সাজিয়েও ক্রেতারা দেখা নেই। সব মিলিয়ে মনমরা হাটের ব্যবসায়ী।
advertisement
আরও পড়ুন: টর্নেডোর কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনা! উদ্ধার মৎস্যজীবীর দেহ, পরিবারে হাহাকার
আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই পুজো, ঐতিহ্যবাহী মঙ্গলা হাটে খুচরো খরিদ্দারের দেখা মিললেও পাইকারি ক্রেতার দেখা নেই। তাই পুজোর আগে বেড়েছে অস্বস্তি। সমস্যায় হাটের স্থায়ী অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর পুজোর বাজার সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা পোশাক তৈরি ও মজুত করেন। সেই মতো এবারও প্রস্তুতি তবে এখনও পর্যন্ত সেভাবে পুজোর বাজার না ধরতে পেরে আশাহত তাঁরা। গত কয়েক বছর আগে করোনা পরিস্থিতির পর এ বছরেও ব্যবসায়ীদের কাছে বড় ধাক্কা। একাংশ বিক্রেতাদের কথায়, অঙ্কুরহাটি পোশাক চালু হবার প্রভাব পড়েছে মঙ্গলা হাটে। সামান্য কিছু অংশের ক্রেতা সেই হাট থেকেই চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী অশোক শ্রীবাস্তব ও দীপক সাহা’ রা জানান, আর জি কর ঘটনা এবং বন্যার মতন পরিস্থিতির কারণে মঙ্গলা হাট ব্যবসায়ীদের এবার করুণ দশা। বিক্রেতা পসরা সাজিয়ে রাখলেও খরিদ্দারের দেখা নেই হাটে। নানা কারণে এবার পুজোর বাজারে মন মরা হাওড়ার প্রাচীন মঙ্গলা হাটের পোশাক ব্যবসায়ীরা।
রাকেশ মাইতি