বিশেষ করে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে মৎস্যজীবীরা একাধিকবার বাঘের আক্রমণে তাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে এবং বাঘের আক্রমণে অনেকে গুরুতর জখমও হচ্ছেন। সেই সমস্ত মৎস্যজীবীদের কথা চিন্তা করে ভারত সরকারের সহযোগিতা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে সমবায়ের মাধ্যমে মৌমাছি পালনের মধ্য দিয়ে মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি ব্লকের গুড়গুড়িয়া ভূবনেশ্বরী অঞ্চলের গৃহবধূ থেকে এলাকার মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুন: মথুরাপুর স্টেশন রোড মানেই সমস্যা! মুক্তি পেতে যা চাইছেন বাসিন্দারা
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে গৃহবধূরা জানান, অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে জঙ্গলে গিয়েও মৎস্যজীবীরা সারা বছর সংসার চালিয়ে নেওয়ার মত অবস্থা হচ্ছে না। নদীতে আগের মত আর সেভাবে মাছ হয় না। ধীরে ধীরে মাছও কমে গিয়েছে, আগের মত মধু পাওয়া যাচ্ছে না, গোলপাতা-গরান কাটা বন্ধ। এসব কারণে অধিকাংশ মৎজীবীর বনে যেতে আগ্রহ দিন দিন কমছে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। বনে মাছ-কাঁকড়া, চিংড়ির নদীতে মাছ ধরে ও মধু আহরণ করে, বিভিন্ন কাজে যুগ যুগ ধরে জীবিকা চলছে তাদের। কিন্তু যেভাবে বারে বারে বার বাঘের আক্রমণে আক্রান্ত থেকে মৃত্যু হচ্ছে। তাই এই বিকল্প কর্মসংস্থান হলে আমাদের অনেকটাই সুবিধা হবে।
সুমন সাহা