বাসন্তী পুজোর সমস্ত নিয়ম-ই পুঙ্খানুপুঙ্খ পালন হয় এখানে। ৪ দশক পার হয়ে ৫ দশক ছুঁই ছুঁই। কুরিট গ্রামের অষ্টাদশভূজা দেবী দুর্গার আরাধনা। পুজোর সূচনা হয়েছিল সাধক বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর নির্দেশ মেনে। তখন গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। চতুর্দিক চাষের জমি। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি লেগে থাকত গ্রামে। কখনও অতিবৃষ্টি, আবার কখনও খড়ার কবলে পড়ে উজার হত ফসলের জমি। তখন গ্রামে কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ, চাষে ক্ষতির ফলে গ্রামের মানুষের দুর্দশা সীমা থাকত না। তাই কীভাবে এই দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সেই পথ খোঁজ করছিলেন গ্রামের সকলে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এমন সময় গ্রামের এক সাধকের পরামর্শে বাসন্তী পুজোর বোধন ঘটে। তারপরই শস্য শ্যামল হয়ে ওঠে গ্রাম। সেই থেকে গ্রামের মানুষ ভক্তি ও জাঁকজমক সহকারে দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে প্রতি বছর। পুজো উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন ভরে ওঠে গ্রাম। পুজোর কটা দিন গ্রামে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন দেবীর দর্শনে। বাঁশ-কাপড়ের তৈরি পুজো মণ্ডপে অষ্টাদশ ভুজা দেবী বিরাজ করেন। এই বাসন্তী পুজো উপলক্ষে গ্রাম আলোক মালার মোড়কে ঢেকে থাকে। বসন্ত ষষ্ঠীর দুর্গাপুজো হল গ্রামের প্রধান উৎসব। এ প্রসঙ্গে লক্ষীকান্ত কোলে জানান, সাধক বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর পরামর্শে গ্রামের প্রবীণ মানুষদের হাত ধরে গ্রামের ফসল রক্ষায় বাসন্তী পুজোর সূচনা হয়েছিল গ্রামে সেই থেকে নিয়মনীতি মানে অষ্টাদশ ভূজা দেবী দুর্গার আরাধনা।
রাকেশ মাইতি





