বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাগানো প্রতিটি গাছের নাম রয়েছে, গাছগুলি ওদের বন্ধু। গাছগুলি ছাত্রছাত্রীদের জন্মদিনে লাগান। সেই গাছে পাখি কাঠবিড়ালিদের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য ওদের ভীষণ পছন্দের। গাছগুলি ওদের বন্ধু, তাই বন্ধু গাছের যত্ন পরিচর্যা ওদের হাতেই। বিগত কয়েক, স্কুলে বাগানে থাকা পাখি কাঠবেড়ালিদের খেয়ালও রাখে সাজিদ রাজদীপ জুলিমা’রা। স্কুল চললে মিড ডে মিলে খাবার অবশিষ্ট ওদের জন্য ভাগ করে নেওয়া। একইভাবে ওদের জন্য জল রেখে দেওয়া তৃষ্ণা মেটাতে। স্কুল চললে গাছ ও পশুু পাখিদের পরিচর্চা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে হো হো করে খেলে বেড়ানোর দিন শেষ! এবার বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শিক্ষক-এসআইরা
কিন্তু গরমের একটানা ছুটিতে কি খাবে, কীভাবে তৃষ্ণা মিটবে ওদের। তাই গাছে ভার বেঁধে জল খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা। এই কাজে কোমর বেঁধে লেগেছে, উলুবেড়িয়া এক নম্বর ব্লকের বাড়মংরাজপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ছাত্রছাত্রীরা। উলুবেড়িয়া এক নং ব্লকের বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারা বছর বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয় পরিবেশ রক্ষায়। সেই দিক থেকে এই বিদ্যালয় অন্য পরিচিতি রয়েছে এলাকায়। পাঠ্য বই ও বিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা পালনের পাশাপাশি পরিবেশ পশুপাখিদের জন্য বিশেষ ভাবনা। বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শৈশব থেকে সমাজ পরিবেশ সম্পর্কে অবগত। বিদ্যালয়কে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা পাবে একইসঙ্গে গ্রামের মানুষ সচেতন হয়ে উঠবে পরিবেশ সম্পর্কে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিদ্যালয়ের ভিতর এবং বাইরের দেওয়াল বিভিন্ন ছবির ব্যানার পোস্টার লাগানো রয়েছে। এমন নানা উদ্যোগে সারা বছর শিক্ষক ছাত্র কাজ করে চলেছে। তাদের সহযোগিতা করতে গ্রামের অনেকেই এগিয়ে আসেন। একটানা গরমের ছুটি, এই ছুটিতে বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি রয়েছে। তাদের হাতে লাগানো গাছ পরিচর্যা এবং বিদ্যালয়ের বাগানে থাকা পাখি কাঠবিড়ালির জল ও খাবার যোগানো।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, পাখি, কাঠবেড়ালিদের এই গরমের ছুটিতে যাতে অসুবিধা না হয়। গরমে সানস্ট্রোক থেকে যাতে বাঁচে সেই জন্য গাছে পাত্রে জল ও খাবার রাখা। একই সঙ্গে দুর্যোগে খাবার এবং বাসা হারা না হয় সেইদিক গুরুত্ব দিয়ে গাছে ভাড় বেঁধে দেওয়া। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত জানান, বিগত কয়েক বছর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এই কর্মকাণ্ড চলছে। নিজেদের লেখাপড়া গরমের ছুটির কাজ সামলে বিদ্যালয় এর নানা কাজে ভীষণ উৎসাহিত ওরা।
রাকেশ মাইতি





