৮০ বছরের পুরনো দোকান এই দোকানে। এখন দোকান দেখেন রামপ্রসাদের উত্তরসুরিরা। বর্তমানে দোকানের দায়িত্বে রয়েছেন রামপ্রসাদের ছেলে ধনুকুমার সাউ। তিনি এখনও সমস্ত কিছু নিজের হাতে দেখা শোনা করেন। এছাড়াও কর্মচারীও রয়েছেন বেশ কয়েক জন। এখন তো যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাজির কোল্ড কফিও।
দশ টাকায় গ্লাস ভরা তৃপ্তি। টক দই, চিনি আর সামান্য বরফ। ব্যাস, ডান্ডা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ঘোল। গ্লাসের উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কাজু-আমন্ডের কুচি আর ছোট এলাচের গুঁড়ো। দোকানের মালিক রামপ্রসাদ সাউ এইভাবে বাজিমাত করছেন সাত দশক ধরে। ঐতিহ্য এখনও অক্ষত।
advertisement
আরও পড়ুন : তিনি এলেই চিতল, কাতলার হরেক পদ রান্না হত, স্মৃতিতে স্তব্ধ বাপ্পি লাহিড়ির মাসির বাড়ি
এই দোকানের সরবতের এত চাহিদা কেন? দোকানের মালিকের দাবি কম দাম, সেরা স্বাদ। এটাই নাকি খদ্দের বশীকরণ মন্ত্র। তবে আরেকটা বিষয়, দোকানের অবস্থান। পাশেই আদালত--উকিল মোক্তারের যেমন ভিড়, ঠিক তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বহু ছাত্রছাত্রী। সকলেই আসেন এই রামপ্রসাদের দোকানে।
আরও পড়ুন : যখন তখন মাথাযন্ত্রণা? পেইনকিলার নয়, সঙ্গী হোক এই ঘরোয়া টোটকাগুলি
আরও পড়ুন : পার্লার বা সালোঁতে টাকা খরচ না করে ঘরোয়া উপকরণে বাড়িতেই স্ট্রেট করুন চুল
জনপ্রিয় হওয়া সহজ ছিল না। শুরুতে রামপ্রসাদের বাবা মাটির ঘরে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আজ তাঁদের দোকান হয়েছে পাকা, লোকসংখ্যাও বেড়েছে। শরবত এখানকার ইউএসপি ঠিকই, তবে এই মুহূর্তে কোল্ড কফির ডিম্যান্ডও কম কিছু নয়। বর্ধমান বলতেই আমাদের যেমন মনে পড়ে সীতাভোগ, মিহিদানা কিংবা ল্যাংচা, তেমনই সঙ্গে রামপ্রসাদের সরবত। না পান করলে শহরটাকেই চিনতে পারবেন না, দাবি অনেকেরই।