রবিবার রাতে বর্ধমান স্টেশনের ৪ নং প্লাটফর্ম থেকে তাদের আটক করে আরপিএফ।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার ৩ টি বিষধর সাপ। সাপ গুলি উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। পাশাপাশি আটক করা তিন ব্যাক্তিকেও বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের গ্রেফতার করে সোমবার পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ধৃতদের নাম মনোহর মাল, সেলিম মাল ও গোপি মাল। সকলেই মেমারি থানা এলাকার বাসিন্দা।
advertisement
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিন ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। তল্লাশি করে তাদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি সাপ। বন্যপ্রাণী পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তাদের আটক করে আরপিএফ।
অভিযুক্তদের দাবি, তারা সকলেই সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গলসী থেকে খেলা দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই আরপিএফ তাদের বর্ধমান স্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে আটক করে। বিষধর সাপগুলির বিষ বেআইনি ভাবে বিক্রি করার উদ্দেশে পাচার করা হচ্ছিল নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল, তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। পাশাপাশি ধৃতদের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত এবং সাপের বিষ বেআইনি ভাবে কোথাও বিক্রি করা হয় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রেঞ্জ অফিসার (বর্ধমান রেঞ্জ) অনির্বাণ মিত্র জানান, ”রবিবার রাতে আমরা খবর পাই, আরপিএফ কয়েকজন সাপুরেকে আটক করেছে। উদ্ধার হওয়া তিনটি সাপ ও ধৃত তিন ব্যক্তিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আরপিএফ-এর পক্ষ থেকে। আমরা তাদের বর্ধমান আদালতে পেশ করব। একটি চন্দ্রবোড়া, একটি কেউটে ও একটি বালি বোরা সাপ উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে। এটা এক ধরনের শিকার বা পাচারের আওতায় পড়ে এই কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি। ধৃতরা জানিয়েছে তারা সাপের খেলা দেখাতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার সময় বর্ধমান স্টেশন থেকে তাদের আটক করা হয়। সাপের খেলা দেখানো তাদের পেশা। সাপের বিষ পাচার করে কিনা সেটি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়, সব দিকই তদন্ত করে দেখা হবে।”






