অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ শনিবার ভোল বদলে দাবি করেছিল রেণু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াতেই এই কাণ্ড হয়েছে। যদিও এই ঘটনার জন্য শের মহম্মদ এখন আফশোস করছে। স্বামী শের মহম্মদের আফশোস করার বিষয়ে রেণু সাফ বলেন, 'ও নিজেকে বাঁচাতে এই সব কথা বলছে। আমি চাই আর ওরা কখনও যেন জেলের বাইরে না বের হতে পারে।'
advertisement
আরও পড়ুন: কলেজের প্রিন্সিপালকে সপাটে চড় বিধায়কের, কেন? তুমুল ভাইরাল ভিডিও
২৭ জুন বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন তখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দোষীদের যাবজ্জীবনের সাজার আবেদন করবেন বলে জানান রেণু খাতুন। এদিন গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পর পুলিশ রেণু খাতুনকে নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালে রেণুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঘটনাস্থল কোজলসা গ্রামের ঘর থেকে উদ্ধার করা বিছানার চাদর, পোশাকে লেগে থাকা রক্তের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্টাফ সিলেকশন কমিশনের অধীনে ৭০ হাজার অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ, জানুন
ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন শের মহম্মদ ও রেণু খাতুন। কিন্তু সেই ভালোবাসার যে এমন বহিঃপ্রকাশ হবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি কেতুগ্রামের রেণু। চাকরি পেয়ে ছেড়ে যেতে পারেন স্ত্রী, এই 'আশঙ্কা'য় স্ত্রী রেণুর কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় রেণুর শ্বশুর-শাশুড়িকেও গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
রণদেব মুখোপাধ্যায়