স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, অর্থনৈতিকভাবে একটু পিছিয়ে থাকা এলাকায় তাঁদের স্কুল। তাই অনেক সময়ই পেন, পেনসিল, খাতা থেকে বিভিন্ন সামগ্রী সময় মতো কিনতে পারে না পড়ুয়ারা। আবার অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরাও বাড়িতে বলতে ভুলে যায়। তাই তাদের সহযোগিতার জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা শিক্ষকরা মিলে একটা তহবিল তৈরি করেছি। সেই টাকা দিয়ে পঠন-পাঠন সামগ্রী কিনে দিয়ে বিদ্যালয়ের শিশু সংসদের শিক্ষামন্ত্রীর তত্বাবধানে একটি ন্যায্য মূলের দোকান খুলে দি। এখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা যেমন তাঁদের প্রয়োজন মত পঠনপাঠন সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারে, তেমনই সেই মুহূর্তে না থাকলেও কেনার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরও টাকা দিতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রশাসনের বড় উদ্যোগে এবার ‘চিন্তা শেষ’! তেল উৎপাদন করেই স্বনির্ভর হবে এলাকা
আবার প্রয়োজনবোধে কোনও কোনও ছাত্রছাত্রীকে তা বিনামূল্যেও দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ঘাটতি বাজেট পূরণ হয় স্কুলেরই অন্যান্য তহবিলের বাড়তি টাকা থেকে। অথবা আমরা শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক সময় নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে দি। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাজার, পরিচালন ক্ষমতা থেকে সহযোগিতাপূর্ণ মানসিকতার বিকাশ ঘটছে। আবার সময় মতো তাঁরা তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা শুধু তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের কাছে পাচ্ছে তাই নয়, বরং একই সঙ্গে তারা বাজার পরিচালনা, আর্থিক লেনদেন এবং সহযোগিতামূলক মনোভাবের মতো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগুলিও পাচ্ছে। যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের এগিয়ে যাওয়ার পথকে আরও সুন্দর করে তুলবে বলে আশাবাদী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অবিভাবকরা।