প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুতি থানার নতুন চাঁদরা গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা বাজি তৈরিতে বিশেষজ্ঞ বলে রাজ্যে পরিচিত। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাজি তৈরির কারখানাতে তাদের বিপুল কদর রয়েছে। ২০১৬ সালে পিংলায় একটি বাজি তৈরির কারখানার বিস্ফোরণে নতুন চাঁদড়া গ্রামের ন’জন নাবালক মারা যান। দত্তপুকুর থানা এলাকাতে বেআইনি বাজি কারখানাতে বিস্ফোরণের পর ওই গ্রামের বেশ কিছু ব্যক্তির খোঁজ না মেলায় গ্রামে ফের আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে। ইতিমধ্যেই নিখোঁজ রয়েছেন তরিকুল সেখ (৪৫), হাবিব শেখ (৪০), ছোটন শেখ (১৫), রনি শেখ (২০), সুজন শেখ (২২) এবং আন্দাজ শেখ (২০)। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য।
advertisement
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, জেরাত আলি নামে গ্রামের এক বাসিন্দা প্রায় ১০ জনকে ওই বাজি কারখানায় কাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিল। ওই শ্রমিকদের মধ্যে জেরাতের নিজের ছেলে এবং তার দাদা ঈশা শেখের ছেলেরাও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কেরামতের পর মৃত্যু মূল অভিযুক্ত শামসুরেরও! দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃত বেড়ে ৯, গ্রেফতার ১
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পর বার বার গ্রামে পুলিশ হানা দিতে শুরু করায় আতঙ্ক তৈরি হয়। জেরাত বছর তিনেক আগে নিজের স্ত্রী আসমা বিবিকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঈশা এবং জেরাত দু’জনেই সম্পর্কে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা শরিফা বিবির দেওর। শরিফার ছেলে মিরাজ শেখ বলেন, “আমার কাকা জেরাত কী করেন, কোথায় থাকেন তা আমাদের জানা নেই।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, দত্তপুকুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয় জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার ১০ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে এখনও কোনও পরিবারের তরফ থেকে আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি। সরকারী ভাবে এখনও কোনও মৃতের তালিকা আসেনি। সরকারী ভাবে এলেই জানানো হবে।
কৌশিক অধিকারী