রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। পুলিশের কাছে খবর যায় বেলা ১০ টা নাগাদ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা৷
আরও পড়ুন: ‘ওখানে লুকিয়ে বোমা তৈরি হতো’! বারাসত বিস্ফোরণস্থলে কী হত জানতে NIA তদন্ত দাবি বিজেপি-র
স্থানীয় সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, এক কিলোমিটার দূরেও আওয়াজে কেঁপে উঠেছিল এলাকা৷ ভেঙে পড়েছিল সামসুর আলির বাড়ির ছাদ। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের ৩ টি কংক্রিটের বাড়িও ভেঙে পড়ে। আশপাশের ৫০০ মিটারের মধ্যে বহু বাড়ির জানলার কাচ, দরজা ভেঙে যায় বলে জানা গিয়েছে৷ বিস্ফোরণস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রক্তাক্ত দেহ এবং দেহাংশ৷ বিস্ফোরণের তীব্রতায় দেহ উঠে গিয়েছিল বাড়ির চিলেকোঠায় কিংবা পিয়ারা গাছের ডালে৷
advertisement
পুলিশ সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত জন মারা গিয়েছেন৷ যদিও অসমর্থিত সূত্রে এই সংখ্যা প্রায় ১২৷ আহত আট জন।
আরও পড়ুন: ‘বাজি নয়, বোমা তৈরি হতো’, বারাসত বিস্ফোরণে জল্পনায় আইএসএফ ‘যোগ’
বর্তমানে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে৷ হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, বারাসত মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ জনকে আনা হয়েছিল। যার মধ্যে একজন হাসপাতালে এসে মারা যান, রবিউল আলি (২১)৷
গুরুতর আহত অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি সামসুর আলি৷ বুকে মেজর বার্ন ইনজুরি রয়েছে তাঁর। এছাড়াও, ৩ মহিলা ও ৩ শিশুও আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে৷ আহতদের নাম, সহিদুল আলি (৫৫), জয়নাথ শেখ (৮), সাকিনা বিবি (৫০), জসমিনা খাতুন(২০), মাসুমা খাতুন (২০), শানাউল ইসলাম (১), আসুরা বিবি (৪৭)৷
পুলিশের দাবি, মাস ছ’য়েক আগেও অভিযান চালিয়ে আশপাশের এলাকা থেকে ৩৫০টন বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল এই এলাকায়৷ অর্থাৎ, এই এলাকায় যে বাজি তৈরি হয়, তা জানা ছিল পুলিশের৷ সূত্রের খবর, এগরা বিস্ফোরণের পরে যখন রাজ্যজুড়ে ধরপাকড় চলছিল, তখন গ্রেফতার হয়েছিল বারাসতের এই বাজি কারখানার মালিক কেয়ামত৷ পরে ছাড়া পেয়ে সে ফের দত্তপুকুরে এসে বাজি কারখানা বানায়৷