স্থানীয় সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির ছাদ৷ চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় মৃতদেহ৷ পাশের বাড়ির চিলেকোঠা থেকে, গাছের ডাল, সব জায়গা থেকেই উদ্ধার হচ্ছে ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই ঘটনায়৷ স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন বহু দিন ধরেই বেআইনি ভাবে এই বাজি কারখানা চলছিল৷ ঘটনার পরে শ্লোগানও তোলেন এলাকার বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ আঙুল তোলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিরুদ্ধে৷
advertisement
আরও খবর: বারাসত বিস্ফোরণে ‘কাঠগড়ায়’ মন্ত্রী রথীন ঘোষ! বললেন, ‘বাজি তৈরি হতো না, মজুত হতো’
ঘটনার পর পরই এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ সুপার এবং ডিআইজি৷ পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত আমরা ব্যবস্থা নেব। এখনও পর্যন্ত ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কজন মারা গিয়েছে হাসপাতালে থেকে জেনে তারপর বলব৷ ঘটনা একটা ঘটেছে৷ তাতে আইন শৃঙ্খলা আমরা দেখেছি..৷’’ দমকলবাহিনী সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ তবে স্থানীয়দের বক্তব্য মৃতের সংখ্যা ১২ ছাড়িয়েছে৷
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিআইডি-র বোম্ব ডিনপোজাল স্কোয়াড৷ এলাকায় আর কোথাও কোনও বিস্ফোরক মজুত রয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ পাশাপাশি, সেখানে কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হত, কী ধরনের বাজি তৈরি হতো, নাকি বোমা তৈরিরও কারবার চলত, এখন সেগুলি খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা৷