গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ওড়িশা সীমানা সংলগ্ন এলাকা এগরার খাদিখুলের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়৷ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে বিস্ফোরণ নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে৷ সেই ঘটনার পর পরই রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে অভিযান চালায় প্রশাসন৷ জানা গিয়েছে, সেই সময় গ্রেফতার হয়েছিল এই কেয়ামত৷ এরপরে ছাড়া পেয়ে সে বারাসতের নীলগঞ্জে কারখানা তৈরি করে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বাজি নয়, বোমা তৈরি হতো’, বারাসত বিস্ফোরণে জল্পনায় আইএসএফ ‘যোগ’
রবিবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে যতদূর জানা গিয়েছে, বারাসতের নীলগঞ্জে সামসুর আলি নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই অবৈধ বাজি কারখানা চালাত কেয়ামত৷ মুর্শিদাবাদের কর্মীদের নিয়ে চলত এই কাজ৷ নিকটবর্তী বাঁশবাগানে বা অন্যত্র বাজি তৈরি করে তা মজুত করা হত সামসুরের বাড়িতে৷ পুলিশের দাবি, মাস ছ’য়েক আগেও অভিযান চালিয়ে আশপাশের এলাকা থেকে ৩৫০টন বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল এই এলাকায়৷ অর্থাৎ, এই এলাকায় যে বাজি তৈরি হয়, তা জানা ছিল পুলিশের৷
এদিনের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কেয়ামতের৷ অন্যদিকে, সামসুর আলির ছেলে রবিউলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়৷ মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছে সামসুর৷
এদিন বিকেলে ঘটনাস্থলে যান ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও৷ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁর উপস্থিতিতে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়৷ সব দেখেশুনে এদিন ঘটনায় এআইএ তদন্তের দাবি জানান নওশাদ৷ প্রসঙ্গত, এদিনের ঘটনাস্থলে মুর্শিদাবাদের আইএসএফ কর্মী ছিলেন বলে সূত্রের খবর৷