Barasat Blast: কার জমি, কে চালাচ্ছিল কারখানা? কী হতো সেখানে? বারাসত বিস্ফোরণে সামনে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য

Last Updated:

বর্তমানে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে৷ হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, বারাসত মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ জনকে আনা হয়েছিল। যার মধ্যে একজন হাসপাতালে এসে মারা যান, রবিউল আলি (২১)৷

দক্ষিণবঙ্গ: কার জমি? কে-ই বা ভাড়া নিয়েছিল? কারখানার মালিকই বা কারা ছিলেন? বারাসত বিস্ফোরণ কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন৷ এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে যতদূর জানা গিয়েছে, বারাসতের নীলগঞ্জে সামসুর আলি নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই অবৈধ বাজি কারখানা চলত৷ বাজি কারখানাটি ছিল কেয়ামত আলি নামের এক ব্যক্তির৷ মুর্শিদাবাদের কর্মীদের নিয়ে এই কাজ চলত বলে জানা গিয়েছে৷ বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কেয়ামতের৷ অন্যদিকে, সামসুর আলির ছেলে রবিউলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়৷
রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। পুলিশের কাছে খবর যায় বেলা ১০ টা নাগাদ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা৷
আরও পড়ুন: ‘ওখানে লুকিয়ে বোমা তৈরি হতো’! বারাসত বিস্ফোরণস্থলে কী হত জানতে NIA তদন্ত দাবি বিজেপি-র
স্থানীয় সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, এক কিলোমিটার দূরেও আওয়াজে কেঁপে উঠেছিল এলাকা৷ ভেঙে পড়েছিল সামসুর আলির বাড়ির ছাদ। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের ৩ টি কংক্রিটের বাড়িও ভেঙে পড়ে। আশপাশের ৫০০ মিটারের মধ্যে বহু বাড়ির জানলার কাচ, দরজা ভেঙে যায় বলে জানা গিয়েছে৷ বিস্ফোরণস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রক্তাক্ত দেহ এবং দেহাংশ৷ বিস্ফোরণের তীব্রতায় দেহ উঠে গিয়েছিল বাড়ির চিলেকোঠায় কিংবা পিয়ারা গাছের ডালে৷
advertisement
advertisement
পুলিশ সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত জন মারা গিয়েছেন৷ যদিও অসমর্থিত সূত্রে এই সংখ্যা প্রায় ১২৷ আহত আট জন।
আরও পড়ুন: ‘বাজি নয়, বোমা তৈরি হতো’, বারাসত বিস্ফোরণে জল্পনায় আইএসএফ ‘যোগ’
বর্তমানে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে৷ হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, বারাসত মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ জনকে আনা হয়েছিল। যার মধ্যে একজন হাসপাতালে এসে মারা যান, রবিউল আলি (২১)৷
advertisement
গুরুতর আহত অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি সামসুর আলি৷ বুকে মেজর বার্ন ইনজুরি রয়েছে তাঁর। এছাড়াও, ৩ মহিলা ও ৩ শিশুও আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে৷ আহতদের নাম, সহিদুল আলি (৫৫), জয়নাথ শেখ (৮), সাকিনা বিবি (৫০), জসমিনা খাতুন(২০), মাসুমা খাতুন (২০), শানাউল ইসলাম (১), আসুরা বিবি (৪৭)৷
advertisement
পুলিশের দাবি, মাস ছ’য়েক আগেও অভিযান চালিয়ে আশপাশের এলাকা থেকে ৩৫০টন বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল এই এলাকায়৷ অর্থাৎ, এই এলাকায় যে বাজি তৈরি হয়, তা জানা ছিল পুলিশের৷ সূত্রের খবর, এগরা বিস্ফোরণের পরে যখন রাজ্যজুড়ে ধরপাকড় চলছিল, তখন গ্রেফতার হয়েছিল বারাসতের এই বাজি কারখানার মালিক কেয়ামত৷ পরে ছাড়া পেয়ে সে ফের দত্তপুকুরে এসে বাজি কারখানা বানায়৷
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Barasat Blast: কার জমি, কে চালাচ্ছিল কারখানা? কী হতো সেখানে? বারাসত বিস্ফোরণে সামনে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement