অনেকেই জানেন না এই সংগ্রহশালার কথা। রাজবাড়ি দেখতে এসে অবশ্যই একবার নেড়ে চেড়ে দেখুন এই সংগ্রহগুলি। অম্বিকানগরের তৎকালীন বজ্রকঠিন রাজা রাইচরণ প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী আন্দোলনে। তাঁর উদ্যোগেই অদূরে ছেঁদাপাথর এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে গড়ে ওঠে বিপ্লবীদের গোপন ডেরা। সেই ডেরা অস্ত্র তৈরি এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যাতায়াত ছিল বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রফুল্ল চাকী, ভূপেশ দত্তের মত প্রথম সারির বিপ্লবীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত রাসবিহারী কুম্ভকারের জীবন কেমন! এবার দেখা যাবে সিনেমায়, হয়ে গেল শুটিং
শোনা যায় যে অম্বিকানগর রাজবাড়ি থেকে প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে রাজা রাইচরণ যেতেন সেই গুপ্ত ডেরায়। নিজে হাতে করে পৌঁছে দিতেন অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ। যদিও গুপ্তচর মারফত রাজার এই সব বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড জানতে পারে ব্রিটিশ পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। আলিপুর বোমা মামলায় কিছু দিন কারাবাসের পর প্রমাণের অভাবে মুক্ত হন রাইচরণ। এখনও কিছু তরবারি সংরক্ষণ করে রাখা রয়েছে এই সংগ্রহশালায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবেশটা বেশ মনোরম। মাঠের পাশে দুর্গা মন্দির এবং সেই মন্দির সংলগ্ন রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ। রাজবাড়ি চত্বরেই বসবাস করেন গৌরী শঙ্কর নারায়ণ দেও এবং তাঁর পুত্র। তাদের প্রচেষ্টাতেই নিজেদের পরিবারের ইতিহাস নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





