২০১৭ সালে পেটেন্টের জন্যে আবেদন করা হয়েছিল ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে। সেই পেটেন্ট এবার স্বীকৃতি পেল ২০২৩ সালে। প্রফেসর ডঃ অনুপম ঘোষ জানান পাকা পেঁপের বীজে এবং অ্যালকোহলের দ্রবণে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট পরিমাণ সিলভার নাইট্রেট। এর ফলে পাওয়া গিয়েছিল বিধ্বংসী ন্যানো পার্টিকেল। এই ন্যানো পর্টিকেলটি এডিস মশার লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে ছিদ্র তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে ।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ইডি, মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির সব্যসাচী! তারপর ঘটল অবাক কাণ্ড
এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর অনুপম ঘোষ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর গৌতম চন্দ্র এবং ডক্টর অঞ্জলি রাওয়ানি। ডক্টর অনুপম ঘোষ জানান, বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের নামে নেওয়া হয়েছে এই পেটেন্টটি। কলেজের উজ্জ্বল ইতিহাসের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল। তিনি এও জানান, নিজের গবেষণার একটি পেটেন্ট বা প্রতিদান লাভ করে যথেষ্ট গর্বিত তিনি।
আরও পড়ুন: একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করল রেল! দেখে নিন আপনার ট্রেন নেই তো?
বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। বাঁকুড়া জেলাও তার ব্যাতিক্রম নয়। বর্ষা পড়তে না পড়তেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় ডেঙ্গি জ্বর। প্রাণও হারাণ বহু মানুষ। মশা বাহিত এই জটিল রোগ সমাধানের জন্য মাঠে নামেন বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের প্রফেসর। সফলতার সঙ্গে আবিষ্কার করেছেন একটি ন্যানো পার্টিকেল। পেয়েছেন স্বীকৃতি। এই ন্যানো পার্টিকেলের হাত ধরেই হয়ত ভবিষ্যতে গোড়া থেকে নিধন করা হবে ডেঙ্গি বহনকারী মশা এডিসকে।
— নীলাঞ্জন ব্যানার্জী