TRENDING:

Bankura News: নীল বিদ্রোহ, অত‍্যাচার থেকে নীলকুঠি! বাঁকুড়ার নীল পাঁচালির গল্প জেনে নিন

Last Updated:

এ জেলাতেও ১৮৩০ থেকে ১৮৭৫ সালের একটি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বাঁকুড়ায় ১২,০০০ বিঘা জমিতে নীল চাষ হত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়:  অবিভক্ত বাংলার অন্যান্য জেলাতে যেমন নীল চাষ দেখা যেত, তেমন বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানেও ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী এবং বৃটিশ আমলে নীল চাষ প্রচলিত ছিল। বিশেষ করে ওন্দা থানার বেশ কয়েকটি জাগাতেও নীলকর কৃষকদের দাদন দিয়ে নীল চাষ করাত। কৃষি ফসলের অধিকাংশ দেশের মানুষের ব্যবহারে লাগলেও, নীল চাষের উৎপাদিত পন্য নীলের মণ্ড বা নীল বড়ি কিন্তু পুরোটাই ইউরোপের বাজারে বিক্রির জন্য চালান যেত।
advertisement

পোশাকের রং করার জন্যই ব্যবহার করা হত নীল। তবে নীল কিন্তু ভারতেরই এক দেশজ গাছ। কোলস্তয়ার্দি গ্রান্টের বিখ্যাত “রুরাল লাইফ ইন বেঙ্গল” বইতে নীল গাছের যে ছবি আঁকা হয়েছে তা দেখে এবং বর্ণনা পড়ে, নীল গাছকে অনেকটা কালমেঘ জাতীয় ছোট গাছের সঙ্গে তুলনা করা যায়।

আরও পড়ুন: সূর্য মঙ্গলের মহামিলনে আদিত‍্য মঙ্গল রাজযোগ! ‘২৬ সালের শুরুতেই কপাল খুলবে ৪ রাশির, নতুন বছরেই আকাশছোঁয়া হবে ব‍্যাঙ্ক ব‍্যালেন্স

advertisement

সে যাই হোক, অবিভক্ত বাংলায় ১৮৬০ সালে যে নীল বিদ্রোহ হয়েছিল তার কথা আমরা ইতিহাস থেকে জেনেছি। দীনবন্ধু মিত্রের “নীল দর্পন” নাটকের মধ্যে অত্যাচারী নীলকর সাহেবদের চরিত্র কেমন ছিল তার ধারণা পাওয়া যায়। অবিভক্ত বাংলায় যে দশটি জেলায় নীল চাষ হত, বাঁকুড়া তার মধ্যে ছিল না।

View More

তবে এ জেলাতেও ১৮৩০ থেকে ১৮৭৫ সালের একটি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বাঁকুড়ায় ১২,০০০ বিঘা জমিতে নীল চাষ হত। এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত হত এক মণ নীল। সেই সময়ে মণ প্রতি নীলের দাম ছিল ২২৫ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। মুদ্রাস্ফীতির হিসাব করলে বোঝা যায় এখন থেকে ১৫০ বছর আগে নীল অতন্ত্য মূল্যবান এক কৃষিপন্য ছিল।

advertisement

আরও পড়ুন: শুক্র বুধের মহামিলনে লক্ষ্মী নারায়ণ রাজযোগ! ৪৮ ঘণ্টা পরেই গোল্ডেন টাইম শুরু ৩ রাশির, হাতে আসবে কুবেরের ধন

দক্ষিণ বাঁকুড়ায় নীল চাষের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ডাক্তার জি.এন.চীক নামে এক ইংরেজ চিকিৎসক। ১৮২১ সাল থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত। তিনি বাঁকুড়া জেলার সহকারী সিভিল সার্জেন ছিলেন। এক সময়ে ডাক বিভাগেও উচ্চপদে কাজ করেছেন তিনি। সেই সময়ের রীতি মেনে নিজের কাজের বাইরে ডাক্তার চীক নীল ব্যবসা করতেন। দক্ষিণ বাঁকুড়ার বেশ কয়েকটি থানায় ছড়ান ছিল তাঁর নীলকুঠিগুলি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নীল বিদ্রোহ, অত‍্যাচার থেকে নীলকুঠি! বাঁকুড়ার নীল পাঁচালির গল্প জেনে নিন
আরও দেখুন

এর মধ্যে ওন্দা থানায় ছিল ছ’টি নীলকুঠি। এগুলি ওন্দা, শুকলাই, চ্যামট্যা নিকুঞ্জপুর, সান্তোড় এবং কুরপায় অবস্থিত ছিল। ওন্দার নীলকুঠিটি ছিল ডাক্তার জ্যোতির্ময় মুখার্জীর বাড়ির ঠিক পিছনে। এছড়াও নীলকুঠি দেখা যায় রানীবাঁধ এবং রাইপুরে, নীল কুঠির ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় সোনামুখী শহরের বুকে চৌধুরি পাড়ায়, এলাকার লোকেরাই নীল কুঠি বলে চিহ্নিত করেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bankura News: নীল বিদ্রোহ, অত‍্যাচার থেকে নীলকুঠি! বাঁকুড়ার নীল পাঁচালির গল্প জেনে নিন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল