বাঁকুড়া এক্সপ্লোরেশন নেচার আ্যকাডেমি আয়োজিত অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণকারীরা শিখছেন দড়ি-নট বাঁধা, র্যাপেলিং, বেলেয়িং, ব্যালান্স কৌশল-সহ পাহাড় আরোহনের মৌলিক থেকে উন্নত দক্ষতা। নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে আধুনিক ক্লাইম্বিং সরঞ্জামে।
advertisement
প্রশিক্ষকদের মতে, শুশুনিয়ার প্রাকৃতিক পাথুরে দেওয়াল ও বৈচিত্র্যময় রুট রক ক্লাইম্বিংয়ের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তাই প্রতিবছরই বাড়ছে অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ। আয়োজকদের আশা, এই কোর্সের মাধ্যমে আরও বেশি যুবসমাজ অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে অংশ নিতে উৎসাহিত হবে এবং ভবিষ্যতে তৈরি হবে দক্ষ ক্লাইম্বারদের নতুন প্রজন্ম।
শুধুমাত্র পাহাড়ে ওঠাই নয়। পাহাড়ে চড়া ছাড়াও রয়েছে পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতনতা। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না হলে, হতে পারে বিবিধ সমস্যা। যারা পাহাড়ে উঠছেন, প্রচন্ড দৈহিক পরিশ্রম প্রয়োজন তাঁদের। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে চড়াই করে উপরে ওঠা খুবই কঠিন একটি কাজ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় মাসে ১০,০০০ ‘রুবেল’ আয় করলে ভারতে কত ‘টাকা’ হবে জানেন…? চমকাবেন শুনলেই!
ফলে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মবোধ হওয়াটা খুবই প্রয়োজন। সেই কারণে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতাও এই সকল কোর্সের একটি অঙ্গ। এভাবেই বছরের পর বছর রাজ্যের পর্বত আরোহণে একটি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে শুশুনিয়া পাহাড় মদত জুগিয়ে যাচ্ছে।
শুশুনিয়া পাহাড় রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। পাহাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সবুজের টানে সারা বছর দূর দূরান্তের পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। তবে শীতকালীন মরশুমে পর্যটকদের পাশাপাশি ভিড় জমান পর্বতারোহীরা।
শুশুনিয়া পাহাড় আদর্শ রক ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষণের জন্য। রক ক্লাইম্বিং ইউনিভার্সিটি বলে খ্যাত এই পাহাড়। তাই ১৯৬৫ সাল থেকে টানা এখনও পর্যন্ত দেশ বিদেশের পর্বতারোহীরা আসছেন শুশুনিয়া পাহাড়ে। শুশুনিয়া পাহাড়ে প্রথম রক ক্লাইম্বিং কোর্স চালু করেছিল ‘হিমালয়ান আ্যসোসিয়েশন’।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়





