দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের বড় ছেলে আকাশের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া বইছে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে।
এই সাফল্যের মাঝেও বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের খরচ। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণেই যখন যাত্রা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ঠিক সেই সময় পাশে দাঁড়ান ইন্দাস ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ‘ইন্দাসের গর্ব’ আকাশ ডোমকে দলের দফতরে সংবর্ধনা জানান হয়েছে।
advertisement
পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের তরফে। তবে এই সাফল্যের রাস্তা মোটেই সহজ ছিল না। ফতেপুর গ্রামের আকাশ ছোটবেলা থেকেই আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যে বেড়ে উঠেছে।
পড়াশোনার পাশাপাশি ক্লাস ফাইভ থেকেই খোখো খেলাকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সে। নিয়মিত কঠোর অনুশীলন, আত্মনিবেদন আর একাগ্রতাই ছিল তার মূল শক্তি—একদিনের জন্যও অনুশীলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়নি আকাশ। ছেলের এই সাফল্যে আবেগাপ্লুত আকাশের মা জ্যোৎস্না ডোম। তিনি জানান, ভ্যান চালিয়ে কোনওরকমে সংসার চালান আকাশের বাবা। সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও ছেলের পাশে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন তাঁরা। প্রয়োজনে বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করতেও পিছ পা হননি বলেই জানান তিনি।
আরও পড়ুন- যুবসমাজের কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত! আমিন ডিজিটাল সার্ভে প্রশিক্ষণে দারুণ কেরিয়ার
নিজের সাফল্যের পিছনের গল্প বলতে গিয়ে আকাশ ডোম জানায়, শিক্ষকদের নিরন্তর উৎসাহ, পরামর্শ ও সহযোগিতাই তাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছে। তার সঙ্গে নিয়মিত কঠোর অনুশীলনই আজ তাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ বলেন, “আকাশ ডোম আমাদের এলাকার গর্ব। আমরা তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি আগামী দিনে জেলা ও রাজ্যের নাম আরও উজ্জ্বল করবে আকাশ।”





