বাঁকুড়ার রিয়েল লাইফ সুপারহিরো সৌম্য পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নিজের পকেট থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা খরচা করে পথ কুকুরদের সেবা করছেন তিনি। তার পাশে দাঁড়িয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী। সৌম্যর স্বপ্ন খাতড়ার বুকে একটি পশু হাসপাতাল করার। বলছেন, দেহে যতদিন প্রাণ থাকবে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবেন।
advertisement
ডগ ফুড, বিভিন্ন হোটেলে বেঁচে যাওয়া ভাত, মুরগির মাংস। এই সব খাবার খাতড়া শহর জুড়ে প্রায় ১২০টি পথকুকুরকে খাওয়ান তিনি। সঙ্গে থাকে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগে থাকে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ওষুধ। কুকুর থেকে গরু অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা করতে দৌড়ে যান সৌম্য মন্ডল। গভীর রাতে যখন কোনও কুকুর বেপরোয়া গাড়ির আঘাতে আক্রান্ত হয় কিংবা খাবার খুঁজতে বের হওয়া মা কুকুর মানুষের অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে ছটফট করে, তখন কোন একসহৃদয় ব্যক্তির ফোন পৌঁছায় সৌম্যর কাছে। সেবা করতে ছুটে আসেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ শিশুবাড়ির তেজপাতা যাচ্ছে মুম্বই! বিদেশের বাজারও অদূরে নয়, জীবিকা নিয়ে চওড়া হাসি গ্রামবাসীদের মুখে
পাথর মারা, গায়ের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়া, গরম জল ছুড়ে মারা কিংবা উত্ত্যক্ত করা। পথকুকুরদের উপর কম অত্যাচার হয় না। সে বিষয়ে প্রশাসনের কী আইন রয়েছে সেটা সম্পর্কে অবগত অনেকেই নন। সৌম্যর অনুরোধ, খবর দিয়ে সাহায্য করতে না পারলেও এই অত্যাচারগুলো যেন না করা হয়। সৌম্য জানান, পরিবারের লোকজনদের দেখে তিনি শিখেছেন পশু সেবা। সেই থেকে শুরু পথকুকুরদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ভারতের যুবসমাজকে জেগে উঠতে হবে। যুবক সৌম মন্ডল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সারাদিন ব্যবসার কাজের পর যেটুকু সময় পান সেবার কাজে নিয়োজিত করেন। অবলা প্রাণীদের ভালবাসা তো আছেই। মানুষের ভালবাসাও পান। সৌম্যর মতো কিছু মানুষ রয়েছে বলে আজও পথকুকুররা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েনি।





