তারই মধ্যে দুদিন ব্যাপী টানা বৃষ্টি অব্যাহত বাঁকুড়ায়। আর সেই বৃষ্টির কারণেই দারকেশ্বর নদ যেন ফুঁসছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে ডুবে গেছে একাধিক সেতু। পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে মীনাপুর সেতু ও ভাদুল সেতুতে। এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে বাঁকুড়ার নদীগুলি। ইতিমধ্যেই দারকেশ্বর নদের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলের তলায় চলে গেছে একাধিক সেতু। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ দুই সেতু ভাদুল ও মীনাপুর ইতিমধ্যেই চলে গেছে জলের তলায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার মেয়েদের এই স্কুলের দেওয়ালেই রয়েছে যত রহস্য! স্কুলে যেতেই শিখে যায় কতকিছু
ফলত ওই দুটি সেতু দিয়ে পারাপার একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। ভাদুল সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহা সমস্যায় পড়েছেন সোনাতপল, বালিয়াড়া, সুরপানগর, মালাতোড় সহ বহু গ্রাম। ভাদুলে বসবাসকারী এক ব্যক্তি চোখে আঙুল দিয়ে বলে দিলেন তাদের সমস্যার কথা। তিনি জানান সেতুর জল কম থাকলেও ব্যবহারের অযোগ্য। পাথরে স্ল্যাবগুলি নড়বড় করতে থাকে। যদিও এই সেতু দূরত্ব কমিয়ে দেয় প্রায় ছয় কিলোমিটারের মত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ষার কারণে রেললাইন হয়ে পারাপার করছে সাধারণ মানুষ। যার জেরে জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে তাদেরকে। বাচ্চাদের স্কুল থেকে শুরু করে, হাসপাতাল কিংবা যেকোন ইমারজেন্সি হোক না কেন! মানুষকে ছুটে আসতে হয় বাঁকুড়া শহরে। সেই পথ এখন বন্ধ। কষ্ট পাচ্ছেন রোগীরা, কষ্ট পাচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা। কবে ঠিক হবে এই সেতু, তাই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী