তবে এখানে ধস নামাও নিত্যদিনের ঘটনা। বারবার আবেদন করা হয়েছে ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে। আবেদন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। কিন্তু হয়নি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। অবশেষে ভয় আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ আবারও ধ্বস নামা শুরু হয়েছে এলাকায়। তাই বাধ্য হয়ে কোনও উপায় না পেয়ে গ্রাম ছাড়ছেন।
advertisement
অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন থেকেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। পড়াশকোল এলাকার প্রসিদ্ধ পদ্মাবতী মন্দির রয়েছে এখানে। পড়াশকোল এলাকার আশেপাশে রয়েছে ইসিএলের বেশ কয়েকটি খোলা মুখ খনি। আর সেই খোলা মুখ খনির জমানো মাটির কারণেই এলাকায় জায়গায় জায়গায় বারবার ফাটল ও ধসের ঘটনা ঘটছে, এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত রায় বলেন, বিগত দুই বছর আগে এই এলাকায় ব্যাপক আকারে ইসিএল এর খোলা মুখ খনির কারণেই ধসের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই মুহূর্তে এলাকা ও ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও এলাকার বহু মানুষ আতঙ্কে। স্থানীয়দের একাংশ লক্ষ্য করেন ,পড়াশকোলের বগুলা কাজরা যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপর জায়গায় জায়গায় গভীর আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য পড়াশকোল এলাকা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে জামবাদ খোলামুখ খনি। এলাকায় দু'বছর আগে ধসে তলিয়ে যায় আস্ত একটা বাড়ি। তলিয়ে যায় বাড়ির লোকজনও। বেশ কয়েক দিনের চেষ্টার পর মৃতদেহ উদ্ধার হয় মাটির তলা থেকে। এই ঘটনার পরেই আতঙ্কিত জামবাদ, পড়াশকোল এলাকার বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে ভয়ে আতঙ্কে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ছাড়ছেন তারা।
নয়ন ঘোষ