ঐতিহাসিক দিক থেকে বিচার করলে এই মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। কথিত আছে আদিগঙ্গার স্রোত ধরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নীলাচলে যাওয়ার সময় উপস্থিত হয়েছিলেন এই স্থানে। তিনি নিজেও স্নান করেন সেখানে।
পাশেই চক্রতীর্থ মহাশ্মশান । লাখো পূণ্যার্থী আসেন তাদের পূর্বপুরুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে। কেউ বা পাপস্থলন করতে। কথিত আছে ভৃগুরাম তাঁর মাত-হত্যার পাপস্থলনের উদ্যেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে উপস্থিত হয়েছিলেন এখানে। এরপর এখানে তিনি পূণ্যস্নান সারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'শুভেন্দুর ১১-১২ সালটা দেখুন, DPSC-তে কী করেছিল!' বিস্ফোরক পার্থ, তোলপাড় বাংলা
এই পূণ্যস্নান উপলক্ষে যে মেলার আয়োজন করা হয় সেখানে, সেই মেলা প্রতিবছর মিলন মেলায় পরিণত হয়। মেলা উপলক্ষ্যে গঙ্গারতির আয়োজনও করা হয় সেখানে। এবছরও তার কোনো ব্যাতিক্রম হয়নি। রকমারি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে হাতের কাজের জিনিসপত্র, মিষ্টি দোকান সবই থাকে এই মেলাতে।
আরও পড়ুন: 'আমাকেও ডেকেছিল তদন্তে, কী হল সেটার?' বিস্ফোরক বিমান বসু! কোন তদন্তের কথা বলছেন?
মেলা চলাকালীন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারি চালানো হয় সেখানে। চলে রায়দিঘি ও মথুরাপুর থানার উদ্যোগে যৌথ নজরদারি। সব কিছু মিলিয়ে মেলার এই কয়েকটি দিন প্রকৃত অর্থে মিলনমেলায় পরিণত হয়ে ওঠে কাশীনগর এলাকা।
-----নবাব মল্লিক