বৈদ্যবাটি রাজার বাগানে মণীশের বাড়ি রয়েছে। গত ছয় বছর ধরে সীতারাম বাগানে ভাড়া ছিলেন দু’জনে। তাঁদের প্রতিবেশী শুভেন্দু মাঝি জানান, রাত তিনটে নাগাদ ‘বাবাগো-মাগো’ বলে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা।
এরপর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে একজন এবং ঘরের বাইরে পড়ে রয়েছে একজন। ওই অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা ছটফট করেন। রাজার বাগানে মণীশের বাড়ির লোককে খবর দেন প্রতিবেশী। তাঁরাই পুলিশ ডাকে। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্লাস ১১-এর ছাত্রকে লাগাতার যৌন নির্যাতন, কাজে লাগালেন ওষুধও! গ্রেফতার নামী স্কুলের শিক্ষিকা
মণীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন, অপর্ণা পরিচারিকার কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। দু’জনে সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। রাতে বাড়ি ফিরতেন। মণীশ নেশা করতেন তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে মাঝে মাঝেই অশান্তি হত বলে জানান প্রতিবেশীরা। তাঁদের অনুমান, নিজেরা মারামারি করার সময় ধারাল কিছু দিয়ে আঘাত করেন একে অপরকে।
আরও পড়ুন: অফিসের মহিলা বাথরুমে পুরুষ কর্মী, হাতে মোবাইল! তারপরই…৩০টি ভয়াবহ ঘটনার পর বেরিয়ে এল আসল রূপ!
ঘটনার তদন্তে আসেন চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস, আইসি শ্রীরামপুর সুখময় চক্রবর্তী। বাইরে থেকে কেউ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস জানান, তাঁরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসেন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ধারালো কিছু আঘাতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু তা এখনও পরিষ্কার নয়। রাতের বেলা কেউ তাঁদের বাড়িতে এসেছিল কিনা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাহী হালদার