TRENDING:

Bangla News: ১-২-৩ করে ১৬ ঘণ্টা! মুর্শিদাবাদ থেকে টোটো চালিয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতা পাড়ি, তারপর? চোখে জল আসবে

Last Updated:

Bangla News: অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা টোটো চালিয়ে আসছিলেন স্বামী। পেশায় তিনি টোটো চালক, নাম উপেন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর? ঘটনা শুনলে চোখে জল আসবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হুগলি: অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া নেই, তাই টোটো করে অসুস্থ স্ত্রী-এর চিকিৎসার জন্য মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছেলে। বাবা ছেলে মিলে দু’জনে টোটো চালিয়ে বুধবার রাতে তাঁরা পৌঁছন হুগলির ডানকুনি এলাকায়। সেখানেই টোটো চার্জ দিয়ে আবারও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রওনা দিচ্ছিলেন কলকাতার উদ্দেশে। পথে স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় ডানকুনি পুরসভার উদ্যোগে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সে পাঠিয়ে তাঁদেরকে পৌঁছনো হল হাসপাতালে।
advertisement

অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা টোটো চালিয়ে আসছিলেন স্বামী। পেশায় তিনি টোটো চালক, নাম উপেন বন্দ্যোপাধ্যায়। টোটো চালিয়েই কোনও রকমে চলে তাঁদের সংসার। দিন কয়েক আগেই স্ত্রী-এর স্ট্রোক হয়। তারপরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল থেকে তাঁদেরকে রেফার করা হয়, বর্ধমানের একটি হাসপাতালে। কিন্তু সেই হাসপাতালেও অনেক খরচ। সতীর্থ মারফত উপেনবাবু জানতে পারেন কলকাতার সরকারি হাসপাতালে গেলে কম খরচে তাঁর স্ত্রীকে সুস্থ করা যাবে। সেই আশাতেই মুর্শিদাবাদ থেকে একেবারে টোটো নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বাবা-ছেলে ও অসুস্থ মা।

advertisement

আরও পড়ুন: শারীরিক মিলনের ঠিক আগে ও পরে কি প্রস্রাব করা উচিত? জানুন চিকিৎসকের মত! ‘এই’ ভুলেই নষ্ট কত পরিবার

বুধবার সকাল পাঁচটার সময় তাঁরা বের হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ থেকে। রাত তখন ১১ টা সেই সময় তাঁরা এসে পৌঁছন হুগলির ডানকুনি এলাকায়। সেখানেই দাঁড়িয়ে টোটো চার্জ দিচ্ছিলেন। এমন সময় ডানকুনির স্থানীয় মানুষরা এগিয়ে আসেন ওই পরিবারকে সাহায্য করতে। খবর গিয়ে পৌঁছয় ডানকুনি পুরপ্রধান হাসিনা সাবিনামের কাছে। তারপরে পুরসভার তরফ থেকে পাঠানো হয় একটি অ্যাম্বুল্যান্স। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই পরবর্তীতে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হয় কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: এত ঘুম আসে কোথা থেকে? সারাদিনে ১০ হাজার বার ঘুমায় এই প্রাণীটি! বলুন তো কে? নামটা শুনলে চমকে উঠবেন

এই বিষয়ে পুরপ্রধান হাসিনা সাবনাম, ওই পরিবারের সদিচ্ছা ও সাহসকে কুর্নিশ জানান। টোটো করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা যেভাবে মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন তা অভাবনীয়। তবে ডানকুনি পেরিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ধরে কলকাতায় আসতে হবে কিন্তু সেই রাস্তাতে পুলিশে টোটো আসতে দেয় না। কারণ সেখানে টোটো যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সে কারণে তাঁরা এগিয়ে এসে তাঁদেরকে সাহায্য করেছেন। পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে অসুস্থ পরিবারকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

রাহী হালদার

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bangla News: ১-২-৩ করে ১৬ ঘণ্টা! মুর্শিদাবাদ থেকে টোটো চালিয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতা পাড়ি, তারপর? চোখে জল আসবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল