সংশোধিত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে যখন পুড়ছে মুর্শিদাবাদ, তার আঁচ এসে পড়ে বাড়ির কাছেই। কিন্তু সেই আঁচ মানিকের চৌকাঠ পেরোতে দেননি সানাউল, উকিলরা। কারণ, তাঁদের পরিচয়, তাঁরা প্রতিবেশী। তাই আগাগোড়া প্রাণ দিয়ে বন্ধু মানিকের পাশে থেকেছেন সানাউলরা।
আরও পড়ুন: নিজেদের মুখ পুড়েছে বারবার, এবার পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে মুখ খুলতেই ইটের বদলে পাটকেল খেল বাংলাদেশ!
advertisement
দিনকয়েক আগে অশান্তির মাঝেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে দেখা গিয়েছিল সম্প্রীতির নজির। আর এবার সঙ্কটের মুহূর্তে বন্ধুর পাশে দাঁড়ালেন বন্ধুরা। সেখানে নেই কোনও ধর্ম নেই কোনও বিভেদ। তাঁদের পরিচয় একটাই তাঁরা প্রতিবেশী। একই গ্রামে থাকেন। একসঙ্গে ওঠাবসা। সকাল থেকে রাত দেখা হয় মুখোমুখি, চলে কুশল বিনিময়।
একই গ্রামের মাটির গন্ধ যে তাঁদের প্রত্যেকের গায়েই লেগে রয়েছে। এই কঠিন সময়েও যেন সানাউল, উকিল, স্বপন, বংশীলালরা সঙ্কল্প নিচ্ছেন। মানিকের বাড়ি বাঁচাতে প্রাণের ঝুঁকি নিতেও দ্বিধাবোধ করেননি সানাউল ও তাঁর ভাই। যদিও তাঁরা বলেন, “শুক্রবার, গত শুক্রবার এখানে অশান্তি হয়েছিল। আজকে শুক্রবার যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তার জন্য আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছি।”
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। খুন হয়েছেন দু’জন। এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। নতুন করে হিংসার খবর পাওয়া যায়নি। তারই মাঝে ধর্মকে দূরে সরিয়ে বুক দিয়ে গ্রাম ও প্রতিবেশীদের আগলে রাখার এই গল্প সত্যিই অনন্য।
কৌশিক অধিকারী