চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তোপখানাপারা চারমাথা মোড়ে। ওই জায়গাটি পূর্বে ব্যক্তি মালিকাধীন থাকলেও বেশ কিছু বছর আগে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতর এই জায়গা কেনে সাব স্টেশন করার জন্য। তারই খনন কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে। ভিতের জন্য মাটি খোঁড়াখুড়ির ফলে উদ্ধার হয়েছিল মানুষের মাথার খুলির কয়েকটি অংশ। তা নিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সপ্তমীতে নবপত্রিকার স্নান! কী তা, জানেন না অনেকেই! ‘গণেশের বউ’ আসলে কে? রীতি জানলে মুগ্ধ হবেন
গতকাল সন্ধ্যায়, রাজমিস্ত্রিরা কাজ ছুটি করে যাওয়ার আগে হঠাৎ লক্ষ্য করেন মৃতদেহর হাত এবং পায়ের বেশ কিছু বড় হাড়। তড়িঘড়ি তারা ওই অংশের টিন চাপা দিয়ে, ভয়ে চলে যান কাজ ছেড়ে। এই নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। কেসি দাস রোডের টুটুল শেখ বলেন, তিনি এই এলাকায় প্রতিদিনই কাজের শেষে সন্ধ্যের সময় চা খেতে আসেন। ভয়াবহ পরিবেশ এবং মানুষের গুঞ্জন শুনে সংবাদমাধ্যমকে খবর দেন।
ক্লাব সদস্য রাজিব শেখ ফরেনসিক তদন্তের দাবি তুলেছেন। কর্তৃপক্ষ এসে এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করারও দাবি করেছেন। মসজিদ কমিটির সম্পাদক বাবু শেখ জানাচ্ছেন, সরকারি কাজে যাতে কোনওরকম বাধা না আসে সে ব্যাপারে তারা সহযোগিতা করবেন , তবে কর্তৃপক্ষের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মানুষকে এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করতে হবে।
স্থানীয় কাউন্সিলর নরেশ লাল সরকার জানান, “প্রাচীনকালে সম্রাট ঔরঙ্গজেব খান সেনাদের বসতি স্থাপন করেছিলেন ওখানে। সেই হিসেবে আজও ওখানে বহু পরিবারের পদবি খান। তখন বাড়িতে বাড়িতে কবরের ব্যবস্থা ছিল। তাই হয়তো খননের ফলে উঠে আসছে। তবে এই নিয়ে চাঞ্চল্যের কিছু নেই, আমি ইলেকট্রিক সাপ্লাই এবং শান্তিপুর থানার সঙ্গে কথা বলব।”
এ দিন সকালে সূত্রাগড় বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের স্টেশন ম্যানেজার ছুটিতে থাকার কারণে তারা যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি, তবে কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশ্বস্ত করেছেন সকলকে। শ্রমিকের সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকলেও দু-একজনকে এ দিন কাজ করতে দেখা গিয়েছে।
Mainak Debnath