এখনও এই জায়গায় রাত নামলে অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় অশরীর উপস্থিতির বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিকষ কালো চারপাশ, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক গোটা জঙ্গল জুড়ে। হাড় হিম করা পরিবেশে মশাল হাতে করতে পারেন জঙ্গল সফর। প্রতি ইটে শ্যাওলা ধরা, ঘরের ভিতরেই চোখের সামনে দিয়ে ভয় ধরিয়ে উড়ে যাবে পায়রা। জোনাকির আনাগোনা তৈরি করবে এক ভৌতিক পরিবেশের। নানা ধরনের ভৌতিক আওয়াজ রীতিমতো হাড়-হীম করে দেবে। ইচ্ছে হলে, গরমের ছুটিতে প্রকৃতির মাঝে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের পরবর্তী গন্তব্য হতেই পারে বনগাঁর নীলকুঠি। যদি ভূতে বিশ্বাস নাও করেন, তাহলেও জঙ্গল এবং নদী মিলিয়ে গ্রাম বাংলার এই পরিবেশ জায়গাটির প্রেমে পরতে বাধ্য করবে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কী! সিক্স প্যাক অ্যাবস নিয়ে বোলপুরে 'হাজির' অনুব্রত মণ্ডল! মুহূর্তে তোলপাড়
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার মঙ্গলগঞ্জ নীলকুঠি ভৌতিক অনুভূতির জন্য এখন অনেক পর্যটকের কাছেই আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। অপরপ্রান্তে, বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী নদী৷ আর এপারে নাটাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের মঙ্গলগঞ্জেই রয়েছে এই পরিত্যক্ত নীলকুঠি।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে ওটা কীসের গন্ধ? পরপর অসুস্থ ৯ জন! যা ঘটল, শুনলে ভয়ে ঘুম উড়ে যাবে
স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই নীলকুঠিতেই নীল চাষীদের উপর নির্মম অত্যাচার করত নীলকর সাহেবরা। এমনকি বহু মানুষের অত্যাচারিত হয়ে মৃত্যুর সাক্ষী রয়েছে এই নীলকুঠি। প্রায় ৬৪ বিঘা জমি জুড়ে রয়েছে ওই নীলকুঠি এলাকায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইতিহাসের সাক্ষী এই নীলকুঠি। ভৌতিক পরিবেশের স্বাদ পেতে তাই ঘুরে যেতে পারেন মঙ্গলগঞ্জ। থাকার জন্য এখানেই নদীর ধারেই রয়েছে তিনটি কটেজ ও টেন্টের ব্যবস্থা। কলকাতা থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটারের রাস্তা এই ভৌতিক নীলকুঠি।
-----Rudra Narayan Roy