TRENDING:

Bangla News: রানি হয়েও নেতৃত্ব কৃষক বিদ্রোহে, মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈকে চেনেন?

Last Updated:

Bangla News: নিজের সম্পত্তির কথা না ভেবে কৃষকদের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন মেদিনীপুরের এই বীর মহিলা, রানি শিরোমণির ইতিহাস চমকে দেবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: বিপ্লবের মাটি মেদিনীপুর। এই মাটিতেই কান পাতলে শোনা যায়, বীরত্বের কাহিনী। নিপীড়িত কৃষকদের হয়ে লড়াই করেছিলেন এক রানি। মেদিনীপুরের লক্ষীবাই হিসেবে পরিচিত রানি শিরোমণি। পারিবারিক সূত্রে রাজত্ব পেলেও কৃষকদের উপর ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
advertisement

তিনি এ বাংলার মহীয়সী রানি শিরোমণি। মেদিনীপুর সদর শহর থেকে অনতিদূরে এখনও ইতিহাস বহন করে চলেছে রানি শিরোমণির গড়। শুধু তাই নয়, পাশে থাকা বহু বছরের প্রাচীন মন্দির, ইতিহাসের জলজ্যান্ত সাক্ষী। মনে করা হয় গ্রামের মানুষের আত্মশক্তি দাত্রী দেবী মহামায়া।

আরও পড়ুন: শিলংয়ে রাজাকে কে মেরেছিল? মুখোমুখি জেরায় সোনম-রাজের ‘তু তু-ম্যায় ম্যায়’! পুলিশের সামনে এ কী বলল ধৃতরা?

advertisement

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় জন্ম বহু বিপ্লবীর। মেদিনীপুর জেলার শালবনী বিধানসভার অন্তর্গত কর্নগড়। এই কর্নগড়ে জন্ম হয়েছিলেন বীরাঙ্গনা রানি শিরোমণি। যিনি ভারতবর্ষের প্রথম সশস্ত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। যিনি ছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র আন্দোলন চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী। রানি লক্ষ্মীবাঈকে প্রথম মহিলা সশস্ত্র আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও তার বেশ কয়েক বছর আগে সশস্ত্র আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন মেদিনীপুরের রানি শিরোমণি, বলে ইতিহাসবিদেরা মনে করেন।

advertisement

জানা যায়, রানি লক্ষীবাঈয়ের জন্ম ১৮২৮ সালে। তাঁর জন্মের ১০ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন বিদ্রোহী রানি শিরোমণি। অথচ হারানো ইতিহাসে কান পাতলে শোনা যায় শিরোমনি মানে ‘মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ’।

আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনার মুখে বুঝেই পাইলটের শেষ আর্তি ‘মেডে’! এয়ার ইন্ডিয়ার চালক কেন বললেন একথা?

কেশরী বংশের রাজা ইন্দ্রকেতু রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। উত্তরসূরী রাজা অজিত সিংহের মৃত্যুর পরে রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বভার তুলে নেন দ্বিতীয় রানি শিরোমণি।‌ টিলার উপরে মাকড়া পাথর ও পোড়া ইঁটের রাজপ্রাসাদ হয়ে উঠল বিপ্লবের আঁতুড়ঘর। বিপ্লবের জন্য ব্যয় করতে থাকেন দু’হাত উজাড় করে। হয়ে ওঠেন নেত্রী। মূলত এই কৃষক বিদ্রোহকে ইংরেজরা হেঁয় করার জন্য নাম দিল ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’।

advertisement

এখনও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে মেদিনীপুর সদর শহর থেকে অনতিদূরে থাকা এই কর্ণগড়। তবে এখানেই রয়েছে রাজ বংশের কুলদেবী মহামায়া ও শিবের মন্দির। যে মন্দির বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো বলেই ইতিহাস গবেষকেরা মনে করেন। কথিত আছে যে, রাজাদের আত্মশক্তির সঞ্চয়দাতা দেবী মহামায়া। এখন সার্বিক আসনে কর্ণগড়ের দেবী মহামায়া, তবে ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে ঘেরা এই কর্ণগড়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এবার প্লাস্টিকের যুগ শেষ, বাজার কাঁপাচ্ছে মাটির বাসনপত্র! জেনে নিন দাম
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bangla News: রানি হয়েও নেতৃত্ব কৃষক বিদ্রোহে, মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈকে চেনেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল