তিনি এ বাংলার মহীয়সী রানি শিরোমণি। মেদিনীপুর সদর শহর থেকে অনতিদূরে এখনও ইতিহাস বহন করে চলেছে রানি শিরোমণির গড়। শুধু তাই নয়, পাশে থাকা বহু বছরের প্রাচীন মন্দির, ইতিহাসের জলজ্যান্ত সাক্ষী। মনে করা হয় গ্রামের মানুষের আত্মশক্তি দাত্রী দেবী মহামায়া।
advertisement
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় জন্ম বহু বিপ্লবীর। মেদিনীপুর জেলার শালবনী বিধানসভার অন্তর্গত কর্নগড়। এই কর্নগড়ে জন্ম হয়েছিলেন বীরাঙ্গনা রানি শিরোমণি। যিনি ভারতবর্ষের প্রথম সশস্ত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। যিনি ছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র আন্দোলন চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী। রানি লক্ষ্মীবাঈকে প্রথম মহিলা সশস্ত্র আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও তার বেশ কয়েক বছর আগে সশস্ত্র আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন মেদিনীপুরের রানি শিরোমণি, বলে ইতিহাসবিদেরা মনে করেন।
জানা যায়, রানি লক্ষীবাঈয়ের জন্ম ১৮২৮ সালে। তাঁর জন্মের ১০ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন বিদ্রোহী রানি শিরোমণি। অথচ হারানো ইতিহাসে কান পাতলে শোনা যায় শিরোমনি মানে ‘মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ’।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনার মুখে বুঝেই পাইলটের শেষ আর্তি ‘মেডে’! এয়ার ইন্ডিয়ার চালক কেন বললেন একথা?
কেশরী বংশের রাজা ইন্দ্রকেতু রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। উত্তরসূরী রাজা অজিত সিংহের মৃত্যুর পরে রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বভার তুলে নেন দ্বিতীয় রানি শিরোমণি। টিলার উপরে মাকড়া পাথর ও পোড়া ইঁটের রাজপ্রাসাদ হয়ে উঠল বিপ্লবের আঁতুড়ঘর। বিপ্লবের জন্য ব্যয় করতে থাকেন দু’হাত উজাড় করে। হয়ে ওঠেন নেত্রী। মূলত এই কৃষক বিদ্রোহকে ইংরেজরা হেঁয় করার জন্য নাম দিল ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’।
এখনও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে মেদিনীপুর সদর শহর থেকে অনতিদূরে থাকা এই কর্ণগড়। তবে এখানেই রয়েছে রাজ বংশের কুলদেবী মহামায়া ও শিবের মন্দির। যে মন্দির বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো বলেই ইতিহাস গবেষকেরা মনে করেন। কথিত আছে যে, রাজাদের আত্মশক্তির সঞ্চয়দাতা দেবী মহামায়া। এখন সার্বিক আসনে কর্ণগড়ের দেবী মহামায়া, তবে ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে ঘেরা এই কর্ণগড়।
রঞ্জন চন্দ





