সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী ওঝার কাছে। সেখানে কিছু না হওয়ায় তারপর নিয়ে যাওয়া হয় সাগর ব্লক হাসপাতালে। চিকিৎসকরা অ্যান্টিভেনাম ইঞ্জেকশন দেন। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি শ্রাবণীকে। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত সে। এরপর দেহ ফিরিয়ে আনা হয় বাড়িতে। তারপর প্রচলিত বিশ্বাসে পাশের মুড়িগঙ্গা নদীতে কলার ভেলাতে শ্রাবণীর দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বুড়ো হাড়ে ভেল্কি! ফরাসি ওপেনে জকোভিচকে হারিয়ে সেমিতে নাদাল
পরিবার ও প্রতিবেশীদের বিশ্বাস, নদীর নোনা জলে সাপে কামড়ানো শ্রাবণীর আবার প্রাণ ফিরবে। গত কাল রাতে ভেলাটি ভাসিয়ে দেওয়ার পরে বুধবার সকালে ভেলাটি পুনরায় ফিরে এসেছে। আর তাই নিয়ে শুরু হয়ে জল্পনা। একুশ শতকে দাঁড়িয়ে পুরাণ-কাব্যের ছায়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে পুরো এলাকায়। ভেলাটি দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার মাধ্যমিকের রেজাল্ট আউট, সবার আগে ফল জানুন News18 Bangla-য়
তবে বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সাপের কামড়ে মৃত্যুর পর কোনওভাবে প্রাণ ফেরা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা। এই ঘটনা নিছকই কুসংস্কার বলেছেন তাঁরা।
বিশ্বজিৎ হালদার