কিছু দিন আগেই হিন্দমোটর এলাকায় একটি গুজব রটেছিল আকাশ থেকে প্লেন ভেঙে পড়া নিয়ে। যদিও পড়ে দেখা যায় সেটি আসলে ছিল ড্রোনের ট্রায়াল রান। অবশেষে সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে সেই ড্রোন দিয়েই জীবন দায়ী ওষুধ সরবরাহ করার অনুমতি মিলেছে। অভিনব এই উদ্যোগ রাজ্যের তথা দেশের মধ্যে প্রথম বলে জানিয়েছেন ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা। হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি ওষুধ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় জুন মারফত ওষুধ সরবরাহের জন্য।
advertisement
ওই বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির কর্ণধার বিনীত তন্দরির বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ওষুধ পৌঁছনোয় দ্রুততা আনার বিষয় নিয়ে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সাফল্য এসেছে। তাঁদের সংস্থার ওষুধ বহনকারী ড্রোনের ওজন ৩২ কেজি। আপাতত এই ড্রোনের মাধ্যমে জীবনদায়ী ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে হাওড়া জেলা এবং সংলগ্ন হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায়। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে সমস্ত জেলাকে পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই ড্রোন যাতায়াত করবে ১৩২ মিটার উচ্চতায়। মাত্র ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ডে হুগলি থেকে ওষুধ নিয়ে হাওড়া পৌঁছবে। ফলে সময় যেমন বাঁচবে পাশাপাশি সময়ের মধ্যেই ওষুধ পৌঁছবে ক্রেতার হাতে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ বড় কিছু ঘটবে? ইডি-র কাছে যাচ্ছেন এক 'রহস্যময়ী'! তোলপাড় বাংলা
দিল্লির ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থার আধিকারিক অর্পিত শর্মা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ড্রোন তৈরি করেছেন। আগে কলকাতায় বেশ কয়েকটি সংস্থার জন্য ড্রোন তৈরি করেছেন। তবে সেগুলি অন্য কাজের জন্য। ওষুধ সরবরাহের জন্য ড্রোন এই প্রথম। তিনি আশাবাদী এই উদ্যোগে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। অল্প সময়ের মধ্যে ওষুধ পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যের কাগজ, এ রাজ্যে মাঝরাতে পোড়ানো কেন হল? বিরাট ষড়যন্ত্র! কী ছিল সেই কাগজে জানেন!
কী ভাবে গ্রাহকরা পাবেন এই ড্রোন পরিষেবা: খুবই সহজ ওই বেসরকারি ওষুধ সংস্থা কোনো রকম অ্যাপ দিয়ে নয়, বরং সরাসরি ফোন করে করতে পারবেন ওষুধের বুকিং।
ফোন :18008893107
হোয়াটসঅ্যাপ: 7596086567
তবে ডিজিসি-এর অনুমোদন অনুযায়ী এখন সবে মাত্র হুগলি থেকে হাওড়া পর্যন্ত ড্রোনের এই রুট চালু করা হয়েছে। হাওড়ায় একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে গিয়ে নামবে এই ড্রোনটি। সেখান থেকে মোটরবাইকে করে ওষুধ নিয়ে একেবারে বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবেন এই ওষুধ সংস্থার কর্মীরা। আগামীতে অনুমতি মিললে অন্যান্য রুট সংযুক্তিকরণ করা হবে। সুদূর ভবিষ্যতে এই ড্রোন সরাসরি ওষুধ নিয়ে পৌঁছে যেতে পারে মানুষের বাড়ি বাড়ি।
------রাহী হালদার