বাড়ি সংস্কারের কাজ ঘিরেও উঠছে নানা প্রশ্ন। জানা যায়, বছর ১৫ আগে তৈরি হয়েছিল এই বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল বাড়িটি। প্রথমে তিন তলার ছাদ ভেঙে পড়ে দোতলায়, তারপর দোতালার ছাদ ভেঙে পড়ে একতলার ঘরে বসে থাকা ধ্রুবজ্যোতির গায়ের উপর। সেই সময় অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নেওয়ার খোঁজে বেরিয়েছিলেন ধ্রুবজ্যোতির মা ও মেজদা বলেও জানা গিয়েছে। ফলে ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিল ধ্রুবজ্যোতি।
advertisement
আরও পড়ুন: হিরণের অভিযোগ, এবার নোটিস গেল তৃণমূল সাংসদ দেবের কাছে! সংরক্ষণ রাখতে হবে ‘সব’
এবারেই উচ্চমাধ্যমিকে প্রায় ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেছিল সে। এলাকায় মেধাবী পড়ুয়া হিসাবেই তাকে জানেন সকলে। ২০১৮ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর, মা ও দাদার সঙ্গেই থাকত ধ্রুবজ্যোতি। এদিন ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল মেধাবী এই ছাত্র। অবশেষে দমকলের চেষ্টায় অচৈতন্য অবস্থায় গুরুতর জখম ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে। যদিও ততক্ষণে সব শেষ, চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন বেশ কিছু সময় আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়িটির বেশ কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল।
তাই বাড়ি সংস্কারের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছিল মণ্ডল পরিবার। তবে কয়েক দিন ধরে চলা একটানা বৃষ্টির জেরেই রাতে ঘটে এই বিপত্তি বলেই মনে করা হচ্ছে। ভেঙে পড়া ছাদের অংশ সরিয়ে ছেলে ধ্রুবজ্যোতিকে উদ্ধার করতেও প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যদি তৎপরতার সঙ্গে কিছু সময় আগে উদ্ধার করা যেত তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত সন্তানকে। ঘটনায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছে মণ্ডল পরিবার। তবে স্থানীয় পুরসভার তরফ থেকে বিপজ্জনক এই বাড়িতে থাকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে। তবে সংস্কারের কাজ চালানোর ক্ষেত্রে কোন গাফিলতি ছিল কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন সহ উদ্ধারকারী দল। ঘটনা কি ঘিরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
—– Rudra Narayan Roy