উত্তর ২৪ পরগনার জেলার বনগাঁ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দীনবন্ধু নগরের বাসিন্দা বিবেক দাস। সীমিত আর্থিক উপার্জন নিয়েও ছেলে বিশ্বনাথকে তাঁর শিক্ষা চালিয়ে যেতে কখনও বাধা দেননি। বি-টেক করার পর ২০১৪ সাল থেকেই বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়া শুরু করে বিশ্বনাথ। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে আসল সাফল্য। ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে ডাক পেতেই বনগাঁর বাড়িতে নামল খুশির হাওয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কোন অনুব্রত মণ্ডল! দিল্লির আদালতে যা বললেন, চোখ কপালে উঠল সকলের! বড় ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত
বিশ্বনাথ জানান, কঠোর পরিশ্রম, ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি, নিজের উপর অগাধ বিশ্বাস পাশাপাশি অদম্য জেদ, এবং হার না মানা মনোভাবের মাধ্যমে এই সাফল্য মিলেছে। ইসরোর মতো দেশের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে গেলেই মেলে সুযোগ, দাবি এই কৃতী ছাত্রের। পরীক্ষার মাধ্যমে এই কাজের জন্য নির্বাচিত হন তিনি। বিশ্বনাথ জানান, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে শারীরিক মাপঝোঁকে খামতি থাকায়, ইসরোতে যোগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসা শুরু করে সে। তৃতীয় বারের চেষ্টায় ধরা দিল সাফল্য। তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ তরুণ তরুণী মোবাইলে বেশি সময় অপচয় করে। ই-পড়াশোনায় বেশি ঝুঁকছেন। কিন্তু বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: চিঠিতেই চরম বিপদ, হাইকোর্ট বলতেই বিরাট পদক্ষেপ CBI-এর! জেলে দিনের বেলায় যা হবে...
বিশ্বনাথ দাস আগামী দিনে ইসরোতে যোগদান করে তার কাজের মাধ্যমে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি তিনি। বিশ্বনাথের বাবা বিবেক দাস ও মা মায়া দাস বিশ্বনাথের সাফল্যে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো কেঁদে ফেলেন। সব ঠিকঠাক থাকলে, আগামী দু মাসের মধ্যে কাজে যোগ দেবেন বিশ্বনাথ দাস।
------Rudra Narayan Roy





