বিজেপি প্রার্থী হিসেবে এলাকার ভোটারেরা তাকে ভোট দেওয়ায়, জয় লাভ করেন। ভোটের ফলাফল প্রকাশের কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই তার মনে হয় যে, তিনি তৃণমূল দলটিকে ভালোবাসেন। দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তাকে উৎসাহিত করে। তার দাবি অনুযায়ী, দলনেত্রীর কাজে নিজেকে সামিল করতে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আপনি কাজ করতে অপারগ’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরাট নির্দেশ! বরখাস্তে তোলপাড়
আর তাই তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে এসে দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিলেন রুমা মণ্ডল। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘রুমা মণ্ড ল তৃণমূলে যোগদানের জন্য বাগদার তৃণমূল নেতাদের মাধ্যমে আমাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দলে যোগদান করানো হল। তার মতো অনেক বিজেপি সদস্যই দলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।’
যদিও বিজেপির দাবি, রুমা মণ্ডলকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। এইভাবে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও জানান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের যোগ্য জবাব পাবে বলেও মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন: ভরা বিধানসভা, সকলকে চমকে দিয়ে এ কী করলেন বাবুল সুপ্রিয়! অনুরোধ খোদ স্পিকারের
এদিকে, রুমা মণ্ডলের মতো জয়ী প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়লাভের পর এইভাবে দল ছেড়ে অন্য দলে যোগদানের প্রসঙ্গে এলাকাবাসীদের মত, এলাকার ভোটারেরা তাকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ভোট দিয়েছিলেন। অথচ ভোটে জয়লাভের পর তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। এতে ভোটারদের সঙ্গে একপ্রকার প্রতারণা করা হল। এইভাবে দলবদল আটকাতে আইনের সংশোধনও চাইছেন সাধারণ মানুষের একাংশ। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩০ আসনবিশিষ্ট রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, ১২ টি আসনে বিজেপি এবং ৩ টি আসনে সিপিএম জয়ী হয়েছে। ফলে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কারা বোর্ড গঠন করবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে বিজেপি থেকে তৃণমূলে এই যোগদান করায় রণঘাট পঞ্চায়েত শাসকদলের দখলেই যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।