জমির মিউটেশনের টাকা, ইটভাটা, অবৈধ পুকুর খনন বা অবৈধ মাটি পারাপারে জরিমানা ইত্যাদি নানা কাজের অর্থ রাজস্ব আকারে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মাধ্যমে রাজ্য অর্থ দফতরে জমা পড়ে। ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারকে এই টাকা দেবার ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি প্রথা চালু ছিল। কিন্তু তারপর থেকে এই প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করে তুলতে সরাসরি অর্থ দফতরের পোর্টালে গিয়ে কর অথবা জরিমানার টাকা জমা করে চালান দিয়ে আসতে হয়। এরপর ওই ম্যানুয়াল ফাইল এবং সরকারি পোর্টালের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেই তবেই দফতরের আধিকারিকদের সেখানে সই করার কথা। কিন্তু বালুরঘাট ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে আধিকারিকদের সই থাকা কাগজ মেলাতে গিয়েই অভ্যন্তরীন অডিট টিমের কাছে ত্রুটি ধরা পড়েছে।
advertisement
যেভাবে সরকারি অনলাইন প্রক্রিয়াকেই হাতিয়ার করে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে, তাতে ওই স্পেশাল অডিট এর পরে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে অনেক আধিকারিক-কর্মীদের। শুধু চলতি বছরেরই নয়, মোট সাড়ে চার বছরের তথ্য ঘাঁটবে বিশেষ অডিট টিম। আর এই স্পেশাল অডিট টিমের আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক কাজ করছে বালুরঘাট ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে।