আরও পড়ুন: ভেজা হাত সুইচ বোর্ডে দিতেই যা হল! অথৈ জলে গোটা পরিবার
বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরপুর মাঠে চলছিল দুয়ারে রেশনের শিবির।অভিযোগ, গ্রাহকরা রেশন তুলে সেখানেই ফড়েদের হাতে বিক্রি করে দিচ্ছিল। এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে বিষয়টি দেখতে পান বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। চাল, আটা বিক্রি হচ্ছে দেখে পুলিশকে ফোন করেন। বলাগড় থানার পুলিশ এসে কয়েক কুইন্টাল চাল, আটা আটক করে লরি করে নিয়ে যায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
advertisement
এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ পাচ্ছিলাম রেশনের চাল, আটা বিক্রি হচ্ছে। গরিব মানুষের জন্য রেশন। সেই চাল, আটা বিক্রি কেন হবে? আজ শেরপুরে এসে দেখলাম অভিযোগ সত্যি। চাল, আটার মান খারাপ হলে রেশন নেওয়ার দরকার নেই। আমি নিজে এই চাল, আটা খাই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসীরা জানান, রেশন থেকে পাওয়া চাল, আটা অনেকেই বিক্রি করে দেয়। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কাজলী দাস বলেন, রেশন থেকে কোনও মাল কিনি না। গ্রাহকরা রেশন তুলে বিক্রি করে, সেটা কিনি। আমি নিজেও তৃনমূল কর্মী। কিন্তু দল থেকে কোনও সাহায্য পইনি, তাই এই কাজ করি।দলের কর্মী রেশনের মাল কিনছে শুনে বিরক্ত হন বিধায়ক। তাঁকে বলেন, দল কি তোমাকে চুরি করতে বলেছে? রেশন ডিলার বাচ্চু মুখোপাধ্যায় বলেন, রেশন নেওয়ার পর গ্রাহকরা কী করছে সেটা তাঁদের ব্যাপার। দেখি অনেকেই চাল, আটা বিক্রি করে দেন।এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।
রাহী হালদার