সম্প্রতি এক প্রবীণ ব্যক্তির দেহ সৎকার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। রবিবার সন্ধেয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বছর ৬৬ এর নরেশ পোড়ে। তঁর হঠাৎ মৃত্যুতে পরিবারে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। স্বাভাবিক নিয়মে মৃতদেহ সৎকারের জন্য গ্রামের একমাত্র শ্মশানের দিকে যাত্রা শুরু করেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু শোকের মুহূর্তকেও হার মানায় শ্মশানে পৌঁছনোর ভোগান্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র একদিনে জ্যান্ত থেকে পচা-গলা দেহ! ভয়ঙ্কর কাণ্ডে আঙুল স্ত্রীর দিকে
জল থৈ থৈ মাঠ, কাদা ভরা পথ। শ্মশান পর্যন্ত যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বেহাল দশায় বহুদিন ধরেই। এই পথ দিয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়েই গ্রামের মানুষ মাঠের মাঝখান দিয়ে কোমর সমান কাদা ও থৈ থৈ জল পার হয়ে কোনরকমে নরেশ’বাবুর দেহ নিয়ে শ্মশানে হাজির হন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, বহু বছর ধরে প্রশাসনের কাছে এই শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লির দাবি জানানো হলেও সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষাকালে এই শ্মশান কার্যত দুর্গম এলাকা হয়ে ওঠে। আশেপাশে কেউ মারা গেলে তাঁকে এখানে নিয়ে এসে দাহ করাটা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কবে টনক নড়বে সেই ভরসাতেই আছেন গ্রামবাসীরা।