প্রথমে দীপকের পথ আটকান তাঁরা। এরপর তাঁর কাছে থাকা প্রায় ১১-১২ হাজার টাকা ছিনতাই করেন দুষ্কৃতীরা। দীপকবাবু বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এমনকি তাঁর কাছে থাকা মোবাইলও ছুঁড়ে ফেলে দেন দুষ্কৃতীরা। ছিনতাইয়ের পর তাঁরা সেখান থেকে টাটা রোডের দিকে চলে যান।
আরও পড়ুনঃ সাইকেলেই পাচার হচ্ছিল…! হাতেনাতে ধরল পুলিশ, নকশালবাড়িতে যা হল, জানলে আঁতকে উঠবেন
advertisement
এই বিষয়ে দীপক গোপ বলেন, হঠাৎ করেই তাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে যায়। স্থানীয় একটি দুধের দোকানে কাজ করেন তিনি। সেই সময় দোকানের কালেকশনের টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। সেই সমস্ত টাকা দুষ্কৃতীরা তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। তাঁর মোবাইল ফোনও ভেঙে দেয়। দু’টি পিস্তল তাঁর মাথার উপর ধরে এই ছিনতাই কাণ্ড ঘটায় দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনার ঠিক ১৫ মিনিট পর অর্থাৎ ৯:১৫ নাগাদ বলরামপুরের মালতি সংলগ্ন এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে নম্বর প্লেটবিহীন দু’টি বাইক আসে। প্রথমে তাঁরা পেট্রোল পাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করে। এরপর ক্যাশ কাউন্টারে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয়।
আরও পড়ুনঃ তিলপাড়ায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড! মাছ ধরাকে ঘিরে হাতাহাতি যুবকদের, তারপর যা ঘটল, জানলে অবাক হবেন
এই বিষয়ে ওই পেট্রোল পাম্পের মালিক হীরা বর্মা বলেন, তাঁর পেট্রোল পাম্পে আসা ওই দুই বাইকের কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। কালো বাইক নিয়ে চারজন পেট্রোল পাম্পে আসেন। তাঁরা অফিসের ভিতর ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দু’টি ঘটনার অভিযোগ নিয়ে বলরামপুর থানার দারস্থ হন অভিযোগকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা টাটার চান্ডিলের দিকে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। বলরামপুর থানার পক্ষ থেকে দুষ্কৃতীদের বাইকের পিছনে ধাওয়া করা হয়। কিন্তু দ্রুত গতিতে বাইক থাকার কারণে তাঁদের পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। বলরামপুর থানার পক্ষ থেকে টহলদারি চলছে।