চারিদিকে জঙ্গল আর তার মধ্যে একটি খুব পুরনো প্রাচীন তেঁতুল গাছ আজও রয়ে গিয়েছে। সেই গাছের নিচেই বসে থাকতেন এক ফকির। চোখে প্রায় দেখতে পেতেন না তবু নিয়মিত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন। গ্রামের সমস্ত মানুষ বিপদে পড়লে বা রোগাক্রান্ত হলে ছুটে যেতেন তাঁর কাছে। কিন্তু অলৌকিকভাবে সেড়ে যেত ফকিরের প্রার্থনায় তার এই কাণ্ড থেকে মানুষটাকে ঈশ্বরের দ্রুত হিসেবে কল্পনা করতেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতের আগে ফের শিরোনামে সুশান্ত ঘোষ! তাঁর গ্রামে এ কী ঘটে গেল…
ইনি হলেন বাবা মকদম পীর। সেই জায়গায় আজ পীর সাহেব নেই কিন্তু হাজার বছরের বহু সাক্ষী সেই পুরাতন তেঁতুল গাছ আজও আছে। গ্রামে মানুষের বিশ্বাস গাছের ডাল ভেঙে কখনও মন্দিরের ওপর আঘাত করে না। আর তেঁতুল গাছে নিচে তৈরি হয়েছে পীর বাবার আস্তানা, মানুষের হৃদয়ে তিনি এখনও রয়ে গিয়েছেন।
স্থানীয় গ্রামের প্রবীণরা জানান, আজ তাঁর ৭০ বছর বয়স হলেও তিনি তাঁর ৭-৮ বছর বয়স এই বাবাকে দর্শন করছে। এই তেঁতুল গাছের নিচে ১,৪১১ সালে ৯ বৈশাখ রতন চন্দ্র বৈরাগী তাঁর পুত্রগণ এই মন্দিরটি তৈরি করে দিয়েছেন। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে বড় বড় দুটি ঘোড়া। প্রতিবছর ৯-১২ বৈশাখ জমজমাট মেলা হয়। পাশাপাশি বহু গ্রাম থেকে ছুটে আসেন বহু ভক্ত। আজও বিপদে পড়লে গ্রামের সাধারণ মানুষ ছুটে যান তার কাছে মানত করতে।
Suvojit Ghosh