শেষ পর্যন্ত পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতরে পাঠানো ক্যামেরায় রেকর্ড করা জয়দেবের বার্তা এসে পৌঁছল তাঁর বাবা, মায়ের কাছে৷ ওই বার্তায় জয়দেব বাবা- মাকে জানিয়েছেন তিনি ভাল আছেন৷ বাবা এবং মাকে সময় মতো খেয়ে নেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়দেব৷
আরও পড়়ুন: পাইপই ভরসা! ৪২ মিটার ড্রিলিং, পরপর পৌঁছচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স… চলছে উদ্ধার অভিযান
advertisement
ছেলের ছবি দেখে খানিক নিশ্চিন্ত হলেও উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না জয়দেবের বাবা-মা তাপস ও তাপসী পরমাণিক৷ জয়দেবের বাবা তাপস পরমাণিকের কথায়, যতক্ষণ না ছেলে উদ্ধার হচ্ছে, স্বস্তি পাচ্ছি না৷ যাঁদের সন্তান রয়েছে, এই উদ্বেগ তাঁরাই বুঝতে পারবেন৷
উত্তর কাশীর ওই সুড়ঙ্গে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন হরিণখালির বাসিন্দা শৌভিক৷ আর জয়দেব কাজ করছিলেন সার্ভেয়র হিসেবে৷ জয়দেবের বাবার এলাকায় একটি চায়ের দোকান রয়েছে৷ সেই উপার্জনেই সংসার চলত৷ পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই বছর দেড়েক আগে ভিন রাজ্যে কাজে যান জয়দেব৷
সুড়ঙ্গে ছেলের আটকে পড়ার খবর কার্যত খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন জয়দেবের মা৷ মা-বাবার উদ্দেশে জয়দেব বলে, ‘আমি ঠিক আছি, তোমরাও ভাল থেকো, সময়ে খেয়ে নিও৷ ‘ আর ছেলের সেই কথা শুনে মনে স্বস্তি ফেরে জয়দেবের বাবা ও মায়ের।
এ দিনই উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গ কেটে আটকে থাকা শ্রমিকদের অনেকটাই কাছে পৌঁছন সম্ভব হয়েছে৷ ফলে খুব শিগগিরই উত্তর কাশী থেকে আরও ভাল খবর আশার অপেক্ষায় রয়েছে জয়দেব এবং শৌভিকের পরিবার৷
Suvojit Ghosh